প্রাচীন আদিবাসী ভাষা ‘নুউ’ জানা একমাত্র ব্যক্তি ইসো!

🕒 প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ১৮ই মে ২০২৩

ছবি: ৯০ বছর বয়সী ক্যাটরিনা ইসো
উপনিবেশ এবং বর্ণবাদের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার আদিবাসী ভাষা ‘নুউ’ একেবারেই হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে ৯০ বছর বয়সী ক্যাটরিনা ইসো হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি ‘নুউ’ ভাষায় কথা বলতে পারেন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
আফ্রিকায় উপনিবেশ ও বর্ণবাদের সময়টাতে আদিবাসী গোষ্ঠীর নিজেদের ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বর্তমানে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা এ আদিবাসী ভাষায় কথা বলতে পারেন। ‘নুউ’ ছিল তেমনি একটি গোষ্ঠীর ভাষা।
এ বিষয়ে ইসো বলেন, আমরা তরুণ বয়সে মাতৃভাষায় কথা বলতে লজ্জিত বোধ করতাম। নিজেদের মাতৃভাষার বদলে তাদের ‘আফ্রিকান্স’ ভাষায় কথা বলতে হতো। এ ভাষাটি দেশটির শাসন ক্ষমতায় থাকা শ্বেতাঙ্গ শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া ভাষা ছিল।
তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ইসো নিজ মাতৃভাষা সংরক্ষণের গুরুত্বটি বুঝতে পারেন। তাই তিনি নিজ শহর উপিংটনে ‘নুউ’ ভাষায় শিক্ষাদানের জন্য একটি স্কুল স্থাপন করেন।
এ বিষয়ে দ্য ওয়েস্টার্ন কেপ ইউনিভার্সিটির ভাষাবিদ লরাটো মোকওয়েনা বলেন, আফ্রিকায় উপনিবেশ ও বর্ণবাদের সময়টাতে আদিবাসী গোষ্ঠীর নিজেদের ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বর্তমানে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা এ আদিবাসী ভাষায় কথা বলতে পারেন।
লরাটো মোকওয়েনা মনে করেন, ক্যাটরিনা ইসো বেঁচে থাকায় ‘নুউ’ ভাষা রক্ষা করার সুযোগ এখনও রয়েছে। তাই ভাষাটি সংরক্ষণ ও লিপিবদ্ধ করার সুযোগটি কাজে লাগানো উচিত।
আরো পড়ুন: ব্রিটিশ রাজমুকুটে ৪৪৪ রত্নসহ আর যা যা আছে
৯০ বছর বয়সী ক্যাটরিনা ইসো ২০০৫ সালে স্থানীয় বাচ্চাদের ‘নুউ’ ভাষা শেখানো শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি তার নাতনী ল্যাংগুয়েজ এক্টিভিস্ট ক্লোডিয়া স্নাইম্যানকে সাথে নিয়ে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
ইসোর দুই বোন জীবিত থাকলেও তারা ‘নুউ’ ভাষায় কথা বলতে জানেন না। তাই তিনি কারো সাথেই ভাষাটি ব্যবহার করে কথোপকথন করতে পারেন না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
এম এইচ ডি/