রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বেঁচে যাওয়া টক দই ফেলে দেওয়া বোকামি *** এই গরমে পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি *** সন্তান লালন-পালনে মায়েদেরও সুস্থ থাকা জরুরি *** সাধারণ হোটেলের সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেলের পার্থক্য কী *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য আসনে ভর্তিতে আগ্রহীদের ‘সম্মতি’ দেওয়ার নির্দেশ *** বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেক দামে ডিম বিক্রি হয় ভারতে *** মার্কিন ভিসা নীতি : অস্বস্তিতে কিছু সরকারি কর্মকর্তা, অনেকে পাত্তা দিচ্ছেন না *** সাভারে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের মেগা শো-রুম উদ্বোধন *** বাংলাদেশি অভিনেত্রী বাঁধন শাহরুখের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করলেন *** সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

চালু হচ্ছে জাতীয় ডেবিট কার্ড

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছে। মূলত বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা হ্রাস ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। এর মাধ্যমে ডুয়েল কারেন্সি (টাকা-রুপি) ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, প্রাথমিকভাবে ৮টি ব্যাংক নিয়ে পাইলটিং কার্যক্রম করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে এই কার্ড ব্যবহার হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কার্ডের জন্য যেসব সেবা দেবে, তা সাশ্রয়ী হবে। তখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে। এখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলো যা নির্ধারণ করে দেয়, তা-ই মানতে হয়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এ কার্ড চালু করবে, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে।

গত ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড চালুর উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টারকার্ড বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিলো না। এগুলোর ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা ছিলো। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট ফি বাইরে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয় ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।

পরে মুদ্রানীতি অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে যে ডেবিট কার্ড নিয়ে আসা হচ্ছে, এটার নাম দেয়া হয়েছে ‘টাকা পে কার্ড’। এই কার্ড ব্যবহার করে দেশের ভেতরে কেনাকাটা করা যাবে। এটাকে আমরা রুপির সঙ্গে যুক্ত করে ফেলব, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশেও এই কার্ড দিয়ে লেনদেন করা যাবে। আবার কেউ ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের যে ভ্রমণ কোটা আছে, সেই পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। ফলে মুদ্রার বিনিময়ের কারণে যে ক্ষতি হতো, সেটা আর হবে না। তাতে দেখা গেছে, ৬ শতাংশের মতো অপচয় কমবে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন ভারতে। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।

এসকে/ 

বাংলাদেশ ব্যাংক ডেবিট কার্ড ডুয়েল কারেন্সি

খবরটি শেয়ার করুন