ছবি: সংগৃহীত
কারফিউয়ের কারণে প্রেক্ষাগৃহগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও সম্প্রতি সিনেপ্লেক্সগুলো আবার খুলেছে। নতুন সিনেমাও মুক্তি দিচ্ছেন না কেউ। এমনকি সম্প্রতি লুটপাট-ভাঙচুর চালানো হয়েছে সিনেপ্লেক্সেও। নিরাপত্তার অভাবে মানুষ সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন না।
সিনেমার বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা কাজী হায়াৎ গণমাধ্যমকে বলেন -
‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ সিনেমা দেখতে যাচ্ছে না। যখন মানুষ নিরাপদ এবং সুস্থ থাকে তখন তারা বিনোদন পেতে চায়। কিন্তু এখন তো সেই পরিবেশ নেই। তাছাড়া সিনেপ্লেক্সে ভাঙচুরও একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
এদিকে চলতি বছর এরইমধ্যে দুই ডজনের বেশি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু শাকিব খানের বাইরে কোনো হিরোর সিনেমা ব্যবসা করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক নির্মাতা। এ প্রসঙ্গে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘সিনেমা যাকে বলে সেটা আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রেক্ষাগৃহে যে সিনেমাগুলো মুক্তি পায় সেগুলোর মধ্যে একমাত্র শাকিবের সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করছে। কিন্তু একজনকে দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব না। পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে একজন শাকিব থাকা ভালো দিক না। আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি, নতুন শিল্পীর প্রয়োজন। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব নতুন মুখ বের করে আনতে হবে। প্রয়োজনে নির্মাতাদের নিয়ে একটি কমিটি করে সরকারের এক বছরের অনুদান তাদের দিয়ে নতুন নায়ক- নায়িকাদের নিয়ে সিনেমা বানালে হয়তো চলচ্চিত্র শিল্পটা বাঁচানো যাবে।’
আরও পড়ুন: দেহদান করে চিরকাল বেঁচে থাকতে চান ঋতুপর্ণা
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অর্ধশত সিনেমা নির্মাণ করেছেন কাজী হায়াৎ। কিন্তু বর্তমানে সিনেমা নির্মাণ থেকে সরে এসেছেন তিনি। তবে মাঝে মাঝে অভিনয়ে দেখা মেলে তার। বিষয়টি নিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমি আর সিনেমা নির্মাণ করবো না। তবে আমার ছেলে কাজী মারুফ একটি অনুদানের সিনেমা নির্মাণ করবে। সেখানে আমি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবো। তবে ছোটখাটো কোনো চরিত্র থাকলে সেখানে অভিনয় করতে পারি। ডিসেম্বরে মারুফ এলে শুটিং শুরু হবে।’
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন