বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, সুখবর ডটকম: নিজের ৯৩তম জন্মদিনে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ৬৩ বছরের আনকা ফাউরকে বিয়ে করলেন অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানের তিন মহাকাশচারীর একজন এডুইন অলড্রিন। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানে করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া তিন নভোচারীর মধ্যে তিনিই এখন শুধু জীবিত আছেন।
শনিবার নিজের টুইটার একাউন্টে বিয়ের খবর এবং ছবি পোস্ট করেন অলড্রিন।
১৯৬৯ সালে মানুষ নিয়ে প্রথম চাঁদে অবতরণ করা অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানের চালক ছিলেন অলড্রিন। তার দুই সফর সঙ্গী দলনেতা নীল আর্মস্ট্রং এবং কমান্ড মডিউল চালক মাইকেল কলিন্স।
নীল আর্মস্ট্রংয়ের পর বাজ অলড্রিনই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি চাঁদের বুকে হেঁটেছেন। দুইজনে ১৯ মিনিট চাঁদের বুকে হেঁটেছিলেন।
লেখেন, ‘‘আমার ৯৩তম জন্মদিনের দিন এবং এই দিনে আমি ‘লিভিং লিজেন্ডস অব অ্যাভিয়েশ’ হিসেবেও সম্মানিত হবো, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, আমার দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ড. আনকা ফাউর এবং আমি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে ছোট্ট পরিসরে বিয়ের আয়োজন সারেন বলেও জানান তিনি।
রোমানিয়ায় জন্ম নেওয়া ফাউর বর্তমানে ‘বাজ অলড্রিন ভেঞ্চার্স’ এর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
তিনি পিটর্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেছেন।
অলড্রিন এর আগে আরো তিনবার বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার তিন সন্তানও রয়েছে।
১৯৫৪ সালে প্রথম বিয়ে করেন জোয়ান আর্চারকে। সেই বিয়ে টেকে ২০ বছর। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ১৯৭৫ সালে, যা টিকেছিল মাত্র তিন বছর। ১৯৮৮ সালের তৃতীয়বারের মতো লয়েস ড্রিগসের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অলড্রিন। ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
একজন নভোচারী হিসাবে নিজের উজ্জ্বল কর্মজীবনে তিনবার মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুলিতে। ১৯৭১ সালে অবসরগ্রহণ করে অলড্রিন।
অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানে করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া তিন নভোচারীর মধ্যে তিনিই এখন কেবল জীবিত আছেন।
এসি/ আইকেজে /
আরো পড়ুন:
আকাশে উড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ