ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: কোভিডের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিধ্বস্ত চীনা অর্থনীতিকে পুনরায় সচল করতে চীনের দুইটি অর্থনৈতিক শক্তি ২০২৩ সালের জন্য অল্প মাত্রার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তাদের কাজ শুরু করেছে।
গুয়াংডং এবং ঝেজিয়াং প্রদেশগুলো চীনের সবচেয়ে বড় উৎপাদন কেন্দ্র। শূন্য কোভিড নীতির কারণে বিগত বছরের লক্ষ্যমাত্রাগুলো পূরণ করতে পারেনি প্রদেশগুলো। এবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশের উপরে ধরা হয়েছে।
রপ্তানি কেন্দ্র এবং চীনের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য মোট দেশীয় পণ্য (জিডিপি) বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এই বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাহায্য করতে পারে। ঝেজিয়াং সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বহিরাগত বাজার সম্প্রসারণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিবে।
ধারণা অনুযায়ী, জাতীয় অর্থনীতির ৭ শতাংশ হলো ঝেজিয়াং এর জিডিপি। গত বছর এটি মাত্র ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গুয়াংডং, দেশের বৃহত্তম আঞ্চলিক অর্থনীতি, ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনীতির ১০.৯ শতাংশ পূরণ করে। কিন্তু গত বছর এর পরিমাণ মাত্র ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য বিলিয়ন-ডলার-স্তরের প্রোগ্রামগুলোর একটি নতুন ব্যাচ প্রবর্তনের পরিকল্পনা করছে গুয়াংডং প্রশাসন। সেই সাথে বেসরকারী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নির্দেশিকা উন্মোচন করার কথাও ভাবছে তারা। মাইক্রো, ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোকেও সাহায্য করবে প্রশাসন।
প্রাইভেট কোম্পানিগুলো গুয়াংডং প্রদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এ কোম্পানিগুলোর সমস্ত অসুবিধা দূর করার কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার।
করোনার প্রাদুর্ভাব এবং শূন্য কোভিড নীতির কারণে গত বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাত্রা ৫.৫ শতাংশ পূরণ করতে পারেনি চীন। কিন্তু এবার শূন্য কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার পর চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন এ বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
গুয়াংডংয়ের গভর্নর ওয়াং ওয়েইজং এবং ঝেজিয়াংয়ের গভর্নর ওয়াং হাও উভয়েই গত বৃহস্পতিবার, আঞ্চলিক পিপলস কংগ্রেসে তাদের কাজের প্রতিবেদনে বলেছেন যে, ২০২২ সালে তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এবার তারা আশা রাখছেন লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবেই পূরণ করার। এজন্য তারা রপ্তানি পুনরুদ্ধার, বেসরকারি খাতে আস্থা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
পার্ল রিভার ডেল্টা ইকোনমিক অঞ্চল এবং গুয়াংডং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চলের আবাসস্থল, গুয়াংডং, হংকং এবং ম্যাকাও-এর সাথে তার পরিবহন সংযোগগুলোকে শক্তিশালী করাসহ এই বছর শহর-ভিত্তিক প্রোগ্রামগুলোকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷
ওয়াং ওয়েইজং বলেছেন যে তার প্রদেশ বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চলের নির্মাণকে সক্রিয়ভাবে প্রচার করবে। সেইসাথে হংকং এবং ম্যাকাও তাদের উন্নয়ন কৌশলগুলিতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
অন্যদিকে, শূন্য কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার পর, স্থানীয় কর্মকর্তারা এ বছর করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন।
আই. কে. জে/