ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: দীর্ঘদিন গৃহপরিচারিকার কাজ করে বিশ্বস্ততা অর্জন করলেও শেষমেষ লোভ সামলাতে পারেননি রেণু আক্তার। অবশেষে মালিকের বাসা থেকে চুরি করা সোনা ও হীরা দোকানে বিক্রি করতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন রেনু আক্তার (৩৬) নামের এক গৃহপরিচারিকা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর পৌর শহরের নিলটুলীর স্বর্ণকারপট্টির একটি দোকানে তাকে আটকের পর পুলিশে দেওয়া হয়। আটক রেনু পৌর শহরের কমলাপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম লিটন শেখ।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শহরের কমলাপুর এলাকার মো. আব্দুস সালাম খলিফার বাসায় দীর্ঘদিন গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন রেনু আক্তার। ধীরে ধীরে তিনি পরিবারের বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন। মাঝে মধ্যেই তাকে বাসায় একা রেখে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যেতেন।
রোববার বাসার লোকজন বাইরে বেড়াতে যান। ফাঁকা বাসা পেয়ে রেনু আক্তার আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও হীরা চুরি করে পালিয়ে যান। বাসায় এসে এমন পরিস্থিতি দেখে সালামের স্ত্রী পলি আক্তার ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দেন।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্বর্ণকারপট্টির নয়ন জুয়েলার্সে চুরি করা ওইসব মালামাল বিক্রি করতে আসেন রেনু আক্তার। মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও হীরা দেখে জুয়েলার্সের মালিকের সন্দেহ হয়।
তিনি রেনু আক্তারকে দোকানে বসিয়ে রেখে কৌশলে থানায় খবর দেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে রেনুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, দোকানির সহযোগিতায় চুরির মালামালসহ গৃহপরিচারিকাকে আটক করা হয়।
রেনুর দেওয়া তথ্যে তার ভাড়া বাসা থেকে আরও স্বর্ণালংকার ও হীরা উদ্ধার করা হয়। যা তিনি মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ওই গৃহপরিচারিকার কাছ থেকে উদ্ধার স্বর্ণালংকার ও হীরা বাজার মূল্য ১৮ লাখ টাকার বেশি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। গৃহপরিচারিকা রেনু আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসি/
আরো পড়ুন:
‘২৫ হাজার টাকার জন্য কোমরে দড়ি, লক্ষ-কোটির জন্য কিছু হয় না!’