ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান একটি ব্যক্তিগত আবাসন প্রকল্পে শওকত খানম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের (এসকেএমটি) জন্য তহবিল বিনিয়োগের কথা স্বীকার করেছেন।
২১ জানুয়ারি (শনিবার) স্থানীয় গণমাধ্যমে একথা স্বীকার করেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০ বিলিয়ন টাকার মানহানির মামলার শুনানির সময় এই প্রকাশ ঘটে। এইদিন জামান পার্কের লাহোরের বাসভবন থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন ইমরান খান।
মামলার শুনানি করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ উমেদ আলী বেলুচ। শুনানিতে খাজা আসিফ ও ইমরানের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আসিফের আইনজীবী ব্যারিস্টার হায়দার রসুল একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ইমরানকে জেরা করেন এবং পিটিআই প্রধানকে এসকেএমটি তহবিলের সাথে একটি ব্যক্তিগত আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
ইমরান প্রকল্পে তহবিল বিনিয়োগের কথা স্বীকার করে বলেছেন যে, এসকেএমটি বোর্ড তাকে বিনিয়োগের কথা বলেছিল। তবে প্রকল্পের নাম এখন মনে করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
তাকে লিখিতভাবে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চান আইনজীবী। ইমরান উত্তর দিয়ে বলেছিলেন যে, এটি মৌখিক না লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল তা তিনি মনে করতে পারছেন না।
পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, বোর্ড সদস্যরা ৩ মিলিয়ন ডলার ফেরত জমা দিয়েছিলেন এবং বিষয়টি বন্ধ হয়ে গেছে।
এই সময় আসিফের আইনজীবী বলেন, “বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি, বরং শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “যখন টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল, তখন ডলারের রেট ছিল ৬০ টাকা এবং যখন টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল, তখন রেট ১২০ টাকায় পৌঁছেছিল।”
এর উত্তরে ইমরান বলেন, “আইনজীবী যদি ‘অকেজো প্রশ্ন’ না করে সোজা কথায় আসেন, তাহলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে।”
তখন খাজা আসিফের আইনজীবী জানান, পরবর্তী শুনানির সময় তিনি মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে জেরা শেষ করতে পারবেন।
এই সময় ইমরান জানান, তার সময়সূচী দেখে পরবর্তী শুনানির জন্য তার প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানাবেন।
পরে আদালত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি করেন।