নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। আর ২৯ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে যাত্রী পরিবহন। সেই লক্ষ্যেই ব্যস্ত সময় পার করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়। মেট্রোযাত্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একে একে শেষ ট্রায়াল রানের প্রতিটি পর্ব চলছে। তৈরি প্রথম ৯টি স্টেশনও।
গল্পের শুরুটা উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে। ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন দিয়ে শুরু হয় স্বপ্ন যাত্রার। দিন গড়িয়ে সেই স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়। ডিপোর পরে পিলার। প্রতিটি পিলার যুক্ত হয়ে সামনে এগিয়ে চলা ভায়াডাক্ট। সমান্তরাল এ পথে তৈরি হয়েছে একে একে ৯টি স্টেশন। এসব এখন পুরনো কথা। চোখের সামনে উঁকি দিচ্ছে অমিত সম্ভাবনা। এ পথে এখন নিয়মিতই চলছে ট্রেনের ট্রায়াল। সমন্বিত ট্রায়াল রানের প্রতিটি পর্ব পাস করে এখন নিজস্ব অপারেটর দিয়েই হচ্ছে চলাচল।
লক্ষ্যটা যেহেতু ২৮ ডিসেম্বর তাই টেকনিক্যাল দিকের পাশাপাশি স্টেশনের অবকাঠামোগুলোও ঠিকঠাক ঝালিয়ে নেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ৯টি স্টেশনের কেবল শেওড়াপাড়ায় একটি চলন্ত সিঁড়িবাদে সবগুলোই শতভাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা আছে প্রথম তিনমাস ধাপে ধাপে ট্রেন পরিচালনার। সংশ্লিষ্টদের একটু মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি নগরবাসীকেও অভ্যস্থ হতে একটু সময় দিতে চায় ডিএটিসিএল। তবে যাত্রী পরিবহন হবে ২৯ ডিসেম্বর থেকেই।
এমআরটি লাইন-৬ এর ডিপিএম মাহফুজুর রহমান বলেন, এরইমধ্যে আমরা ট্রায়াল রান সম্পন্ন করেছি। স্টেশনের অধিকাংশ কাজই শেষ।
২৮ ডিসেম্বরের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। প্রথম স্টেশন অর্থাৎ উত্তরার উত্তর ঘিরেই হবে মূল আনুষ্ঠানিকতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন। শেষ প্রান্ত অর্থাৎ আগারগাঁওয়ে থাকবে অনাড়ম্বর আয়োজন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন মেট্রোরেল, সেটির জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৯টি স্টেশনের প্রাথমিক এই যাত্রা শুরু হবে ১০টি ট্রেন দিয়ে।
এম/ আইকেজে/
আরো পড়ুন:
পায়রা থেকে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ