spot_img
29 C
Dhaka

৩১শে মার্চ, ২০২৩ইং, ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

সুন্দরবন উন্মুক্ত হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর

- Advertisement -

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর বাংলা: দীর্ঘ বন্ধের পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। তাই সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে দর্শনার্থীদের। তিন মাস বন্ধের পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বন।

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ, ট্যুরবোট, ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে চড়ে যেতে পারবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।

বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। একইসঙ্গে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণের জন্য পাস পারমিট নিয়ে ওই দিন থেকে বনে প্রবেশ করতে পারবেন বনজীবীরাও।

তিনি আরও বলেন, গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ তিন মাস সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপাশি সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। কেননা, এ সময়টা বনের বন্যপ্রাণীকুলের প্রজনন মৌসুম।

তাই পর্যটক আনাগোনা থাকলে বন্যপ্রাণীর প্রজনন ও বংশবিস্তারে বাধা সৃষ্টি হবে। তাই বনের মৎস্যসম্পদের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর বংশবিস্তারে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে।

জানা যায়, মৎস্যসম্পদ রায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি বছর এ মৌসুমে ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে।

২০১৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। কিন্তু চলতি বছর থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রথম এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সময় বৃদ্ধি করে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বন্ধ করা হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট ও নৌচলাচল। ফলে দীর্ঘ তিন মাস সুন্দরবন ছিল জেলে ও পর্যটকশূন্য।

এদিকে বনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোটচালকরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন দর্শনার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য। তাদের বোটগুলোকে রং ও মেরামত সেরে নতুন করে সাজিয়ে রেখেছে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য। ট্যুর ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচন হওয়ার পর এত দিন সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই সড়কপথে পদ্মা সেতু পার হয়ে সহজেই অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন ভিড় করবেন পূর্ব বিভাগের সুন্দরবনে।

সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানায়, গত তিন মাস সুন্দরবনের পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় বন্যপ্রাণীগুলো বিকেল হলেই পর্যটক কেন্দ্রের সামনে চলে আসছে। কারণ মানুষের আনাগোনা কম তাই নদীর পাশে বা সামনে আসতে ভয় পেত না।

তিন মাস পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় সরকারের কিছুটা রাজস্ব কম হয়েছে, তবে তার চেয়ে বেশি উপকার হয়েছে বনের বনজসম্পদ ও বন্যপ্রাণীকুলের। জেলে প্রবেশ নিষেধ থাকায় যেমন বনের নদী ও খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার লাভ করেছে। তেমনি প্রজনন মৌসুমে ৩ মাস পর্যটক বন্ধ থাকায় বন্যপ্রাণীর বংশবিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে।

তারপরেও যেহেতু সরকারি নির্দেশনায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনের পাশ পারমিট চালু হবে এবং বনের অভ্যন্তরে ও পর্যটক স্পটে ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরতে আসবেন। সে জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ সব পর্যটন স্পটগুলো নতুন করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান এ বন কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:

কাতার বিশ্বকাপ থেকে আয় হবে ৫৭ হাজার কোটি টাকা!

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ