নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু খেজুরের গুড়। কুয়াশাভেজা শীতে প্রতিটি খেজুরগাছেই লাগানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি। সারা রাত সেই হাঁড়িগুলোতে একটু একটু করে জমা হয় সুস্বাদু খেজুরের রস। আর এই সুস্বাদু খেজুরের রস দিয়েই তৈরি হচ্ছে গুড়।
শীত মৌসুমে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই চোখে পড়বে এমন দৃশ্য।
সিরাজগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য জেলায়ও এখানকার গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খুব একটা লাভ হয় না বলে জানান গাছিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, সারা রাত জমা করা রস সংগ্রহে ভোর হতে না হতেই কুয়াশার চাদর ভেদ করে মাটির হাঁড়ি কাঁধে এগিয়ে চলেছেন গাছি। গাছ থেকে একে একে নামিয়ে আনা হচ্ছে খেজুরের রসভর্তি হাঁড়িগুলো। গাছ থেকে রস পেড়ে তা মাটির তৈরি বিশেষ চুলায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে এলে বিভিন্ন পাত্রে ঢেলে কিছু সময় রাখলেই তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুরের গুড়।
এখানকার উৎপাদিত গুড় স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় বেশ চাহিদা রয়েছে। আর হাতের কাছে এমন খাঁটি ও সুস্বাদু গুড় পেয়ে খুশি স্থানীয়রাও।
গাছিরা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গাছিরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে খেজুরের গাছ লিজ নিয়ে এই গুড় তৈরি করছেন। চলতি মৌসুমে খেজুরের রসের উৎপাদন ভালো হওয়ায় গুড়ের উৎপাদনও বেশ ভালো বলছেন গাছিরা। তাই স্থানীয় চাহিদা পূরণে উৎপাদিত গুড় পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
গুড়ের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের অভাবে খুব বেশি লাভের মুখ দেখছেন না গুড়চাষিরা।
এম/
আরো পড়ুন:
বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে সুবাতাস