spot_img
24 C
Dhaka

১লা এপ্রিল, ২০২৩ইং, ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

সামাজিক দূরত্বে আমরা অনেকেই, সামাজিক নিকটে পুলিশ বাহিনী

- Advertisement -

খোকন কুমার রায়:

আমরা করোনা আতঙ্কে যখন গৃহে অবস্থান করছি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছি তখন আমাদের পুলিশ বাহিনী ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কেউ বা ভাই, কেউ বা বন্ধু, বা আত্মীয়, সর্বোপরি আমাদেরই একজন।

খুবই আনন্দিত হই এ বাহিনীর ভালো খবরগুলো যখন দেখতে পাই। সকল সংকটময় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাছেন, দিচ্ছেন নিরাপত্তা, বিতরণ করছেন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রভৃতি।

পুলিশ বাহিনীর অনেকগুলো কল্যাণমূলক কার্যক্রম নজরে এসেছে। যেমন- অসহায় দরিদ্রদের মাঝে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ, পুলিশ ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকান চালু করা এবং নাগরিকদের দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া, ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও সেবা প্রদান, বিদেশ ফেরত নাগরিকদের নজরদারিতে রাখা, রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্তকরণে জলকামান ব্যবহার করে জীবাণুনাশক স্প্রে করা প্রভৃতি। অবাক হয়েছি, যে জলকামান অবৈধ জনসমাবেশে ব্যবহৃত হতো কিংবা অগ্নিনির্বাপণ কাজে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো এখন জীবাণুমুক্তকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে গাড়িগুলো সদস্যদের পরিবহনে ব্যবহৃত হয় সেগুলোতে করে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কোথাও বা বিপদগ্রস্তের জরুরি খাদ্যসামগ্রীর ফোন পেয়ে বাজার করে তার বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তারা নাগরিক ও মানবিক দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন।

আমরা যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরবন্দী অবস্থায় আছি তারা অনেকটাই নিশ্চিন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে। কিন্তু যে ভাই-বোনেরা এই ভয়াবহ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ক্রমাগত আমাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরও পরিবার-পরিজন রয়েছে এবং তারাও হয়তো দুশ্চিন্তায় আছেন।

চলুন সবাই মিলে এই অদৃশ্য জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে যাই। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলি, নিজেরা ঝুঁকিমুক্ত থাকি এবং অন্যদেরও ঝুঁকিমুক্ত রাখি। আমাদের পুলিশ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করি এবং তাদেরকে যতোদূর সম্ভব ঝুঁকিমুক্ত রাখি। কারণ তাদের অবস্থান সামাজিক দূরত্বে নয়, সামাজিক নৈকট্যে।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাদারি আচরণ এবং মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে গণমানুষের গর্ব ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠুন- এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, সুখবর.কম।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ