সুখবর ডেস্ক: জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা করোনা মহামারি মোকাবিলায় রাষ্ট্রসমূহের দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
গৃহীত প্রস্তাবে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও সবার জন্য ভ্যাকসিনের “ন্যায়সংগত ও নির্বিঘ্ন প্রাপ্তি” নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যে কোনো ভ্যাকসিন উদ্ভাবন “বিশ্বের সকল জনগণের জন্য” বলে বিবেচিত হবে। খবর বাসস-এর।
এই প্রস্তাবটি ভোট ছাড়াই পাস হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে উত্থাপন করার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করা হয়।
চীন ও রাশিয়া সমর্থিত এই প্রস্তাবটি সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও গৃহীত হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবে মহামারি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি ব্যাপারে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
গত বছরের শেষের দিকে চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ লোকের মৃত্যু এবং ১ কোটি ৩৫ লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হওয়ার পর আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির সংকটের মধ্যে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবে টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের ওপর প্রভাব তুলে ধরে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় রাষ্ট্রের যে কোনো জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার আইনের বাধ্যবাধকতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত বলে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এদিকে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষে জার্মান রাষ্ট্রদূত মাইকেল ফ্রেহের ভন উনজার্ন-স্টার্নবার্গ পরিষদে বলেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের মতামত হচ্ছে যে, এই রেজুলেশনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অনুপস্থিত। আমরা বিশ্বাস করি যে, এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আরো প্রস্তুতি এবং গভীর আলোচনার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
তবে মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনার বিষয় উত্থাপনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ শুধু অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ওপরই বিরূপ প্রভাব ফেলেনি, বরং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলছে।