সুখবর প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সাপের কামড় থেকে আরোগ্য লাভের জন্য দেশের সব উপজেলা হাসপাতালে অ্যান্টি-ভেনম সরবরাহ করা হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম আয়োজিত ‘সর্প দংশন’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের সাপের ধরন বাংলাদেশের সাপের ধরন থেকে কিছুটা ভিন্নতর লক্ষ্য করায় এখন থেকে দেশের সাপের ধরনের কথা ভেবে দেশেই অ্যান্টি-ভেনম উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের সব জেলা শহরের হাসপাতালে অ্যান্টি-ভেনম দেয়া হচ্ছে, কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে অ্যান্টি-ভেনমের অভাব রয়েছে। এ কারণে খুব দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের সব উপজেলা হাসপাতালে অ্যান্টি-ভেনম দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম. এ. ফয়েজও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিজিওনাল অ্যাডভাইজার ডা. অপর্ণা শাহ কর্মকৌশল উপস্থাপনা করেন এবং ‘ভেনম রিসার্স সেন্টার’এর কর্মকান্ড উপস্থাপন করেন ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথমবারের মতো ‘স্নেকবাইট এনভেনমিং: অ্যা স্ট্রাটেজি ফর প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল’ প্রণয়ন করে ৪টি কর্মকৌশলের মাধ্যমে তিন ধাপে ২০৩০ সাল নাগাদ শতকরা ৫০ ভাগ মৃত্যু ও অক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অনুষ্ঠানে সর্পদংশনের চিকিৎসা গাইড লাইন ২০১৯ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এন্টি-ভেনম তৈরির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ‘ভেনম রিসার্চ সেন্টার’প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত নিয়মে বিষধর সর্প দংশনের চিকিৎসার জন্য দেশের প্রধান বিষধর সাপের বিষ সংগ্রহ করে এন্টি-ভেনম তৈরি আবশ্যিক বিবেচনা করে, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষধর সাপ সংগ্রহ করে বিজ্ঞানভিত্তিক সংরক্ষণ, লালন-পালন, বিষ সংগ্রহ, ভেনম-এন্টিভে