লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: হাড় কাঁপানো শীতের আমেজ পুরো দেশ জুড়েই। তাই বাড়তি যত্ন প্রয়োজন ত্বকের। শীতের এ সময়ে হাত কিংবা মুখের যত্নের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যত্নের প্রয়োজন পায়ের। শীতের শুরু থেকেই পা ফাটা, চামড়া উঠা কিংবা পায়ের ত্বকের মলিনতা চোখে পড়ে। এ ছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময় পা থাকে জুতা জোড়ায় বন্দি। তাই পায়ের যত্ন নিতে হয় আলাদা ভাবে।
শীতের সময় পায়ের মোজার বিকল্প নেই। অনেকের শীতের রাতে মোজাতেই মিলে উষ্ণতার আমেজ। তাই পায়ের যত্নে মোজার বিকল্প নেই। জায়গা বুঝে মোজা জোড়াতেও পরিবর্তনের ছোঁয়া আনতে হয়। এ ক্ষেত্রে নানা রঙের মোজা যেমন অনেকের পছন্দ, আবার অনেকেই এক রঙের স্কিন মোজাতেই পোশাকের সঙ্গে ফ্যাশনে তালমিল খুঁজে পান। তাই জুতার কারণেও মোজা বেছে নিতে হয় আলাদাভাবে।

শীতের এ সময়ে ভারী মোজার দেখা মিলে সবচেয়ে বেশি। এসব মোজা লম্বায় পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এতে পায়ে মিলে আরাম। পাশাপাশি পশমের তৈরি মোজাও বেশ আরামদায়ক। এ ছাড়া আছে লোফার মোজা। এতে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত কেবল আবৃত্ত থাকে। লোফারের আদলে জুতাসহ বুট জুতার সঙ্গেও এসব মোজা বেশ মানিয়ে যায়। ফ্যাশনপ্রিয় মানুষের কাছে এ মোজা বেশ জনপ্রিয়।
কিছু মোজাতে থাকে লেইস দেওয়া আলাদাভাবে নকশা করা। শীতের এ সময়ে পার্টি কিংবা জমকালো যে কোনো আয়োজনে বেশ মানায় এসব মোজা। অন্যদিকে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের তালিকা আবার ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে আছে ব্যালেরিনা মোজা। এ মোজা লম্বায় কম হয়ে থাকে। সুতি কিংবা নিটের পাশাপাশি মিক্স ম্যাটেরিয়ালেরও হয়ে থাকে।
যারা সারা দিন বাইরে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় থাকে অ্যান্টি-অডর মোজা। ঘাম কিংবা দীর্ঘ সময় পা আবদ্ধ থাকার পরও মোজা থেকে দুর্গন্ধ কিংবা পায়ের নখের কালচে ভাব থেকে রেহাই মিলে এ মোজাতে।
স্ক্রিন টোন মোজাতেও অনেকেই স্বস্তি খুঁজে পান। যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এসব মোজা। এ ছাড়া যারা অফিসের জন্য মোজা ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এক কালার যেমন- নীল, কালো, ধূসর, খয়েরি মোজা সবচেয়ে ভালো। এর বাইরে আছে নকশা আর কারুকাজ করা হরেক রঙের মোজা। এসব মোজাও বেশ মানিয়ে যায় শীতের ফ্যাশনের সঙ্গে।
এম এইচ/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন:
পুরুষের জন্য শীতকালীন চুলের যত্ন ও ৫টি কার্যকরী টিপস