লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: মুরুব্বিরা বলেন লাউ হল ‘বেহেস্তের সবজি’। লাউয়ের পুষ্টিগুণের কথা আমরা সবাই কম বেশি জানি। পেট ঠান্ডা রাখতে যে লাউয়ের বিকল্প নেই একথাটাও সবারই জানা। তবে লাউয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিটামিন আছে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।
ইদানীং পুষ্টিবিদদের পছন্দের তালিকাতে লাউ বেশ উপরের দিকেই থাকে। তার কারণ এই একটি সব্জিতে যে পরিমাণ ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো যৌগ আছে, তা অন্য কোনও সব্জিতে নেই।
শুধু রান্নাতেই নয়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকে আবার লাউ ছেঁচে, রস বার করে খান। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁচা লাউয়ের রস খাওয়ার চেয়ে লাউয়ের কোনও পদ রান্না করে খাওয়াই ভাল। কারণ কাঁচা লাউয়ের রসের স্বাদ যদি একটু তিতকুটে হয়, সেখান থেকে কিন্তু পেটের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
এক নজরে দেখে নিন লাউ খেলে কী কী উপকার হয়-
১) শরীর ঠান্ডা থাকে-
কদিন বেশি তেল-ঝাল-মশলা খাওয়া হলে, মা-কাকিমারা লাউয়ের ঝোল খেতে বলেন। কারণ লাউ পেট ঠান্ডা করে। বদহজম, অম্বল জনিত পেটের সমস্যা একেবারে নির্মূল করে।
২) লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী-
একটি বয়সের পর চিকিৎসকরা বেশি করে লাউ খেতে বলেন। অনেক সময়ে বয়সজনিত কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে আসলে হজমের সমস্যা হতে পারে। বার বার হজমের ওষুধ খাওয়ার চেয়ে লাউ খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। উপরন্তু লাউয়ে থাকা পটাশিয়াম কিডনির স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।
৩) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে-
লাউয়ে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই অনেকেই সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস খেয়ে থাকেন।
৪) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে-
অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ দিন ধরে সেই চর্বিগুলি রক্তবাহিকার দেওয়ালে আটকে, রক্ত চলাচলের গতি স্লথ করে দেয়। ফলে হার্টে রক্ত সঞ্চালনের তারতম্য ঘটে। লাউ খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। যা এই চর্বিগুলিকে সরিয়ে, রক্তবাহিকার গতিপথ সচল রাখে।
৫) পেটের রোগ নিরাময় করে-
সেই আদিকাল থেকে পেটের যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মা-জেঠিমাদের ভরসা লাউ। বাইরে কিছু খেলেই পেটের গোলমালের মতো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে লাউয়ের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খান। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূরে থাকবে।
এম এইচ/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন:
শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যেসব মসলা