ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: চলতি আগস্ট মাসেই অনুমোদন পাচ্ছে রাশিয়ায় উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। দেশটির শিল্পমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরেই ব্যাপক হারে উৎপাদন শুরু হবে ভ্যাকসিনের। আগস্ট মাসেই রুশ নাগরিকরা এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন বলে আশা দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে বাংলাদেশও পাবে এর সুবিধা।
করোনা মহামারী কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী দেড়শ’র বেশি ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এর মধ্যে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে ১৪২টি, প্রথম ধাপের পরীক্ষা চলছে ১৭টির। দ্বিতীয় ধাপে ১৩টি আর তৃতীয় ধাপে ৫টির পরীক্ষা চলমান।
তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি দেখিয়েছে, রাশিয়ার গামালেই ইন্সটিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির ভ্যাকসিনটি।
রুশ শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ডেনিস জানান, ১০ আগস্টের মধ্যে অভ্যন্তরীণ অনুমোদন পেতে পারে তাদের ভ্যাকসিন। গণ উৎপাদন শুরু হবে সেপ্টেম্বর থেকে।
২০২১ সালের শুরু থেকে প্রতি মাসে কয়েক কোটি ডোজ উৎপাদন করলে এর সুফল বাংলাদেশও পাবে বলে মনে করেন দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকরা।
প্রথম ধাপে চিকিৎসক, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী বৃদ্ধদের এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানান রাশিয়ার মস্কো রুদেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও সহকারী অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা।
রাশিয়ায় কর্মরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল আলম বলেন, ‘সাইবেরিয়ার ভিক্টর ল্যাবও আলাদা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যার ট্রায়াল ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ তৈরি হতে আরও দুই মাস লাগবে।’
এদিকে, ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল করতে অনুমোদন পেলো পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট।
যুক্তরাষ্ট্রেও চলছে একাধিক গবেষণা। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২১ সালের শুরুতে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে তার দেশ।