ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত তার নিজস্ব শক্তির চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেবে এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। কারণ পশ্চিমা সরকারগুলি তেল রপ্তানি থেকে আয় কমানোর জন্য মস্কোকে মূল্যসীমার সাথে চাপ দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর তার সফররত জার্মান প্রতিপক্ষ, আনালেনা বেয়ারবকের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারত এখনও পর্যন্ত সাতটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারা নির্ধারিত রাশিয়ান তেলের প্রতি ব্যারেল মূল্য, যা ৬০ মার্কিন ডলার-এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। সোমবার এটি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপটি পশ্চিমা সরকারগুলির দ্বারা জীবাশ্ম জ্বালানি আয় সীমিত করার একটি প্রচেষ্টা যা মস্কোর বাজেট, এর সামরিক এবং ইউক্রেনের আক্রমণকে সমর্থন করে।
জয়শঙ্কর দাম নিয়ে কথা বলেননি তবে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতের চেয়ে রাশিয়া থেকে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে পারছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর রাশিয়া তার তেলের মূল্যের উপর ছাড় দিয়েছে এবং ভারত সেই ছাড়মূল্যে অনেক তেল ক্রয় করেছে। অক্টোবরে ভারত রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল ক্রয় করেছে। রাশিয়া ভারতের শীর্ষ তেল সরবরাহকারী রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে।
ভারত ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং নয়াদিল্লি মস্কোর উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেনি। যদিও ভারত বারবার রাশিয়াকে ইউক্রেনে আগ্রাসন কমাতে অনুরোধ জানিয়েছে।
দুই দিনের সফরে ভারতে থাকা জয়শঙ্কর এবং বেয়ারবক দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বৈচিত্র্য, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের বৈশ্বিক পরিণতি এবং জীবাশ্ম জ্বালানি, শক্তি পরিবর্তনে সহযোগিতা ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
দুই দেশ একটি অভিবাসনমূলক চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছে যাতে করে দুই দেশের নাগরিক সহজে অন্য দেশে অধ্যয়ন, গবেষণা ও কাজ করার সুযোগ পায়।
ইউরোপের মধ্যে জার্মানি ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ১৭০০ টিরও বেশি জার্মান কোম্পানি ভারতে কাজ করছে। ভারতে জার্মানির বিনিয়োগ মূলত পরিবহন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, নির্মাণ, বাণিজ্য এবং অটোমোবাইল ক্ষেত্রসমূহে।