ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি এন্টনি ব্লিঙ্কেন জাপানের প্রতিপক্ষের সাথে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান উভয়ই চীনকে তাদের সবচেয়ে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে। বর্তমানে ওয়াশিংটন, টোকিও এবং তাদের মিত্র দেশগুলো এ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
গত বুধবার ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমরা স্বীকার করি যে পিআরসি (গণপ্রজাতন্ত্রী চীন) হলো আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ। আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে একত্রে দাঁড়িয়েছি।”
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তাদের সমকক্ষ জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদাকে নিরাপত্তা-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনার জন্য মার্কিন-জাপান নিরাপত্তা পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে তাদের স্বাগত জানিয়েছেন।
দুই দেশের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং তার বাইরে সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা চুক্তির পরিধি মহাকাশ পর্যন্ত প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মার্কিন প্রতিপক্ষের সাথে একমত হয়ে বলেছেন যে চীনের পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য হলো, একটি আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, যা বেইজিংয়ের স্বার্থ পূরণ করবে এবং এটি মার্কিন-জাপান জোটের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
হায়াশি আরও বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বেআইনি দাবি এবং জবরদস্তিমূলক ও উস্কানিমূলক পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে।
উভয় দেশের মন্ত্রীরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, চীনের পররাষ্ট্র নীতি আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকে তার সুবিধার জন্য পুনর্নির্মাণ করতে চায় এবং সেই লক্ষ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়। তবে এই আচরণ জোট এবং সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
আই. কে. জে/