নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বছরে চার কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিল মালিকদের হিসেবে, চাল চিকন করতে গিয়ে ৪-৫ শতাংশ উধাও হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এ কাজ বন্ধ হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হতো না।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার মন্ত্রী বলেন, দেশের মিল মালিকরা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারণ গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিংকসমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করে। সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে, তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আজকাল আমরা রাসায়নিকভাবে তৈরি করা জিংক খাচ্ছি। কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি, তা জানি না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে। তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। মিলাররা বলেন, বছরে ১৬ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। আর এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।’
অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না, দুর্ভিক্ষও হবে না। আমরা সচেতন আছি, দেশে পর্যাপ্ত ধান-চালের মজুদ রয়েছে।’ কেউ অবৈধ মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আই.কে.জে/