স্পোর্টস ডেস্ক, সুখবর ডটকম: যে সভায় ঠিক হয়েছিল শীতকালেই হবে ফুটবল বিশ্বকাপ, সেখানেই ফিফা সভাপতি বলেছিলেন- চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য তা হবে ‘ক্রিসমাস গিফট’। কাজানের সে কথাই কাতারে সত্য হয়েছে। বিশ্বকাপ ট্রফি স্পর্শ করে যেন ফুটবলের ‘অমরত্ব’ই উপহার পেয়েছেন মেসি, তর্কের সব পথ বন্ধ করে ঠাঁই করে নিয়েছেন সর্বকালের সেরাদের একজনের তালিকায়। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনাও তার শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাওয়ার আনন্দঘোরে রয়েছে। তাই বুয়েন্স আয়ার্সের আজকের সূর্যাস্ত প্রতিটি আর্জেন্টাইনের জীবনেই স্মৃতিরেখা এঁকে যাবে।
যেভাবে ম্যারাডোনার ১৯৮৬ গেঁথে আছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে, তেমনই মেসির ২০২২ ডিসেম্বরও থেকে যাবে রূপকথার ফুটবলে। গোটা জাতি কীভাবে তার যাবতীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আবেগ, ভীতি, সন্দেহ, উৎকণ্ঠা, জয়োল্লাস, দুর্ভাবনা ফুটবলে সমর্পিত থাকতে পারে; কাতারে বিশ্বকাপ কাভার করার সময় গ্যালারির স্পন্দন তা বুঝিয়ে দিয়েছে। এই উন্মাদনা, এই ভালোবাসার উত্তুঙ্গ স্রোত ভীষণ চেনাও লেগেছে।
ক্রিকেট ঘিরে এমনই তো হয় বাংলাদেশে- হয়তো এই একটি জায়গায় বাংলাদেশিদের সঙ্গে আত্মীয়তা খুঁজে পেয়েছে আর্জেন্টাইনরা। তাই কাতারে ‘ফ্রম বাংলাদেশ’ বললেই বুকে জড়িয়ে ধরেছেন মেসির দেশের অনেক সাংবাদিক। কৌতূহল ভরে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশের ফুটবলের কথা। শুনে আনন্দ পেয়েছেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের কথা শুনে কেউ কেউ এমনও বলেছেন- কিছু করে যদি জামাল ভূঁইয়াদের পাশে থাকা যায়, তাহলে থাকবে তাঁদের আর্জেন্টিনা। শর্ত একটাই, বাংলাদেশিদের ক্রিকেটটা শিখিয়ে দিতে হবে আর্জেন্টাইনদের!
এম এইচ/
আরও পড়ুন:
শান্তিতে থাকুন কিংবদন্তি পেলে: সাকিব আল হাসান