নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: মেট্রোরেলের প্রথম পর্ব পুরোদমে চালু হলেই বছরে বাঁচবে চার লাখ কর্মঘণ্টা। কমবে যানজট, গতি আসবে যোগাযোগে – এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। যাত্রীদের বাইপাসের সুবিধা নিশ্চিত করলে আরও বেশি সুফল মিলবে বলেও মনে করছেন তারা।
যেন অন্ধকারে আলোর রেখা। দীর্ঘদিনের এক দীর্ঘশ্বাস পেছনে ফেলে যেন সামনে এগিয়ে চলা। রাজধানীবাসীর নতুন আলোর দিশা এ মেট্রোরেল।
মেট্রোযাত্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম যাত্রী হয়ে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগরবাসীর দুর্ভোগহীন যাতায়াতের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি।
একটু বাস্তবে ফেরা যাক। রাজধানী ঢাকা মানেই যানজট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ নগরে যানজটের কবলে প্রতি বছর ৩৬ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এবার হিসাবটা মেলানো যাক – এ নষ্ট সময়ের অধিকাংশই বিলীন হয় মতিঝিল থেকে বিমানবন্দর, বিমানবন্দর থেকে উত্তরা, ফার্মগেট থেকে মিরপুর, আর আরেক প্রান্ত মিরপুর সড়কে।
এদিকে এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে ঢাকার দক্ষিণ প্রান্তে তৈরি করছে প্রবেশের নতুন পথ। এতে দশ মিনিটেই দিয়াবাড়ি থেকে পৌঁছে দেবে আগারগাঁও, যা এই পথে বিফলে যাওয়া প্রায় ১২ লাথ কর্মঘণ্টার তিন ভাগের দুইভাগ বাঁচিয়ে দেবে।
তবে গুরুত্ব দিতে হবে বাকি অংশ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার পাশাপাশি আগারগাঁও থেকে যাত্রীদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার। সতর্ক থাকতে হবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকেও। সেবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সময় মেনে মেট্রোরেল চালাতে হবে। নয়তো মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।
এরই মধ্যে দুই প্রান্তে চালু হয়েছে বিআরটিসির মেট্রো শাটাল সার্ভিস। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পথে বিআরটিসির ২০টি দ্বিতল বাস চলাচল করবে। আর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে ১০টি দ্বিতল বাস চলবে দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন পর্যন্ত। ২১ ডিসেম্বর বিআরটিসির বাসগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে মহড়াও দিয়েছে।
বিআরটিসি সূত্র জানিয়েছে, আগারগাঁও থেকে যে রুটটি চালু করা হচ্ছে, সেটি ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান হয়ে মতিঝিল যাবে। একই সঙ্গে এ পথে মেট্রোর আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের নিয়ে আসবে। আরেকটি রুট উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তর স্টেশনে চলাচল করবে।
এম/
আরো পড়ুন:
মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর মোনাজাতে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী