স্পোর্টস ডেস্ক, সুখবর ডটকম: নাম এডসন আরেন্তস দো নাসিমেন্তো; কিন্তু বিশ্ববাসী তাকে চেনে পেলে নামে। ফুটবল ইতিহাসের সেরা তারকা তিনি। ফুটবলের সঙ্গে পেলের নাম যেভাবে জড়িয়েছে, তাকে বাদ দিলে ফুটবলের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে স্কটিশ ফুটবলার প্যাট ক্রের্যান্ডের কাছে পেলের নামের বানান জানতে চেয়েছিলেন ইংলিশ ফুটবলার ম্যালকলম এলিসন। ক্রের্যান্ড বললেন, ‘এটা তো একদমই সোজা, জি-ও-ডি।’ ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা পেলেকে এভাবেই দেখতে শুরু করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
পেলে যে ফুটবলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তার উদাহরণ নিউইয়র্ক কসমস। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের জার্সিতে দীর্ঘ ১৮ বছর খেলার পর ১৯৭৪-তে অবসর ঘোষণা করেন পেলে। এরপর তাকে পেতে আগ্রহ দেখায় জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ ও কসমস। সে সময় কসমসের ম্যানেজার ক্লাইভ লয় পেলেকে বলেছিলেন, ‘যদি তুমি সেখানে (ইতালি-স্পেন) যাও, তাহলে তুমি একটা চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে পারবে। এখানে এসো, তুমি, একটা দেশ জিতবে।
ক্লাইভের কথায় পেলে কসমসে খেলতে রাজি হয়ে যান। ১৯৭৫ সালে রেকর্ড সাত মিলিয়ন ডলারে যোগ দেন কসমসে। মাত্র দুই বছরে সেখানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তোলেন। ফুটবল নিয়ে মার্কিনদের ধারণা বদলে দেন। এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, একবার তার খেলা দেখতে মাঠে ৮০ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। সেবার বিশ্বজুড়ে ম্যাচটি টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়ায় মাঠের ঘাসের ওপর রং ছিটিয়ে দিয়েছিল আয়োজকরা।
দুই বছরের কসমস ক্যারিয়ারে উত্তর আমেরিকা সকার লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন ফুটবল সম্রাট। ৬৪ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৩৭ বার বল জড়িয়েছিলেন তিনি। আমেরিকার ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ার পেছনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরশু রাতে কোলন ক্যান্সারে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া পেলেকে স্মরণ করতে আগামী মঙ্গলবার নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন ফুটবলপ্রেমীরা।
এম/
আরো পড়ুন:
টিভিতে দেখুন আজকের খেলা (৩১ ডিসেম্বর ২০২২)