ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফ্লাইং এবং গ্রাউন্ড ডিউটি শাখার ফ্লাইট ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তি উপলক্ষে, গত শুক্রবার ভারতের হায়দ্রাবাদের বিমানবাহিনী একাডেমিতে একটি সম্মিলিত গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড (সিজিপি) অনুষ্ঠিত হয়।
এ কুচকাওয়াজের পর্যালোচনা কর্মকর্তা (আর.ও.) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। তাঁর উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করে। এই প্রথমবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর কোনও কুচকাওয়াজ বিদেশি সার্ভিস চিফের দ্বারা পর্যালোচিত হয়েছে।
এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং, এয়ার অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ, ট্রেনিং কমান্ড এবং এয়ার মার্শাল বি চন্দ্রশেখর, কমান্ড্যান্ট, এয়ার ফোর্স একাডেমি বাংলাদেশের বিমানবাহিনী প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানকে স্বাগত জানান।
সিজিপি চলাকালীন শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, আইএএফ সদা পরিবর্তিত পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। সেই সাথে যোগ্য প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির ফলে তাদের উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ‘নাড়ির বন্ধন’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে এই সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে।”
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারত ও ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জন্মও এই দেশেরই (ভারত) ডিমাপুরে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর।” তিনি বলেন, “দুটি দেশের মাঝেই পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বিদ্যমান।”
তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত ও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং এ প্রচেষ্টায় উভয় দেশের মধ্যে সমন্বয় আছে তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়মিত যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়।
কুচকাওয়াজের পর সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফ্লাইট ক্যাডেটদেরকে পর্যালোচনাকারী অফিসার তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পুরস্কৃত করেন। এরপর ফ্লাইং অফিসারদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান একাডেমির কমান্ড্যান্ট।
সিজিপি চলাকালীন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফ্লাইট ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কমিশনের মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীর ৬ কর্মকর্তা এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তাকে বিমানবাহিনী একাডেমিতে তাদের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য উইংস ব্যাজ প্রদান করা হয়।
সূত্র: এএনআই, দ্যা হিন্দু