ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেন ‘কুল হিন্দ ইমাম’ সংগঠনের সভাপতি মওলানা সাজিদ রশিদি।
তিনি বলেন, “ভারতের মুসলিমদের বাক স্বাধীনতা আছে, যেখানে অন্য অনেক মুসলিম প্রধান দেশের মুসলিমদের বাক স্বাধীনতা একেবারেই নেই।”
পাকিস্তানকে নিন্দা করে তিনি বলেন, “পাকিস্তানে প্রায়ই মসজিদ ও মাজারে বিস্ফোরণ হচ্ছে। জিহাদের নাম করে তারা যা করছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়।”
এই সময় তিনি আরও জানান, ভারতীয় সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য বাক স্বাধীনতার অধিকার আছে। তাই ভারতীয় মুসলমানরা চাইলেই ভারত সরকারের বিরোধিতা নির্ভয়ে করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানে সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা যায় না। তারা যত অন্যায়ই করুক না কেন চুপ করে সব মেনে নিতে হয়।
ভারতের সংবিধানের আলোকে এখানকার প্রতিটি নাগরিক সরকার এমনকি আদালতের বিরুদ্ধেও কথা বলতে পারে, কারণ তাদের সে স্বাধীনতা আছে। এখানকার মুসলমানেরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে, সম্রাটদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার নাগরিকদের নেই। কেউ যদি কথা বলেও তবে শাস্তিস্বরূপ তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। অথচ ভারতের সংবিধান কতো সুন্দর! এখানে সবাইকে স্বাধীনভাবে নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ওসামা বিন লাদেনের সাথে তুলনা করেন এবং মোদী ভারতে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছেন বলে তাকে অভিযুক্ত করেন। এমন মন্তব্যের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের মন্ত্রীরাই সন্ত্রাসবাদ লালন করছেন। আর কতকাল তারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতে থাকবেন?”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির করা অপমানজনক মন্তব্য সারা ভারত জুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের জবাবে, বিলাওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর ব্যক্তিগত আক্রমণ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নিয়েও কুমন্তব্য করেন।
একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, অরিন্দম বাগচী বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচায়ক। তার এই হতাশা, ক্ষোভ পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের উপর জাহির করলেই ভালো। পাকিস্তানিরা তো সন্ত্রাসবাদকে তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ করে তুলেছে। পাকিস্তানের উচিত নিজেদের মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো। পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যে দেশে ওসামা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসীকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর, দাউদ ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়।