spot_img
28 C
Dhaka

২৬শে মার্চ, ২০২৩ইং, ১২ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

বিশ্বব্যাপী করোনামুক্ত সোয়া ৮ লাখ মানুষ

- Advertisement -

সুখবর প্রতিবেদক: উৎপত্তির ১১৭ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়ালেও একইসঙ্গে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সোয়া ৮ লাখের বেশি মানুষ। নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভাইরাসটিতে বাড়ছে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া ভাইরাসটিতে প্রথম তিন মাসে তথা ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার। সেখানে ১০ এপ্রিলে এসে মাত্র ৮ দিনে তা দ্বিগুণ বেড়ে ১ লাখে দাঁড়ায়। আর ১৬ দিনের ব্যবধানে শনিবার এসে প্রাণহানি দ্বিগুণ বেড়ে ২ লাখে পৌঁছায়। পরবর্তী অবস্থার আরও ভয়াবহতার দিকে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে রোববার বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমিত আরও সাড়ে ৯০ হাজারের বেশি। যাতে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০৪ জনে। আর গত একদিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বিশ্বের আরও প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮ লাখ ৩৭ হাজার জন।

প্রাণঘাতি ভাইরাসটির সবচেয়ে ভয়াবহতা দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা অর্ধলক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও প্রায় আড়াই হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। এতে করে মৃত্যুর সারি ৫৩ হাজার ৫১১ জনে ঠেকেছে। সংক্রমণের শিকার হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৩ মানুষ।

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিলে হাবুডুবু খাচ্ছে ইউরোপীয়রাও। স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৯০২ জনের। যেখানে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ২৩ হাজার ৭৫৯ জন। স্প্যানিশদের থেকে আক্রান্তে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩৮৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমিত সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি।

ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সেও থেমে নেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল। ১ লাখ সাড়ে ৬১ হাজার আক্রান্তের বিপরীতে মারা গেছেন ২২ হাজার ৬১৪ জন মানুষ। যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৭ জন আক্রান্তের বিপরীতে মারা গেছেন ২০ হাজার ৩১৯ জন। আক্রান্ত বেড়েছে তুরস্কেও। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রাণহানির হার অনেক কম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ন্ত্রণে ইরান। সেখানে ৮৯ হাজার ৩২৮ জন আক্রান্ত, প্রাণহানি সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।

আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২৬ হাজার। পাকিস্তানে আক্রান্ত ভারতের চেয়ে অর্ধেক। দেশটিতে ১২ হাজার ৭২৩ জনের বিপরীতে মারা গেছেন ২৬৯ জন।

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত ৫ হাজার ৪১৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৫ জন।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ