বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, সুখবর ডটকম: ২০২২ গড়িয়ে ২০২৩ চলে এলো। এদিকে ইলেকট্রিক ফ্লায়িং কারের বাজারে চূড়ান্ত সাফল্য এখনও পর্যন্ত অধরাই। বিশ্বের বেশকিছু সংস্থা তাদের উড়ন্ত যানের পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু যাত্রীসহ উড়ে চলার পরিষেবা এখনও কেউই শুরু করতে পারেনি। তবে এবারে মার্কিন সংস্থা আসকা (ASKA)-র A5 নামক অন্তরীক্ষের উন্মোচন, নতুন আশার আলো দেখালো।
তবে এটি eVTOL-এর একটি প্রোটোটাইপ মডেল। ‘কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো ২০২৩’ বা সিইএস-এ গাড়িটির উপর থেকে পর্দা সরানো হয়েছে।
eVTOL হল এমন গগনযান, যা স্থিরাবস্থা থেকে আকাশে উড়তে এবং ল্যান্ড করতে পারে। আবার আকাশে একজায়গায় ভেসেও থাকতে সক্ষম। ASKA A5 হল বিশ্বের প্রথম চার আসন বিশিষ্ট ফ্লায়িং কার। যেটি রাস্তায় চলার পাশাপাশি এক চার্জে ২৫০ মাইল (৩৮৬ কিমি) পর্যন্ত আকাশে উড়তে সক্ষম।
আসকা এ৫-এর প্রসঙ্গে সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা গাই কাপিলিনস্কাই বলেন, “সিইএস-এ আমাদের উন্মোচন যা বিশ্বে আগে কখনও হয়নি। মানুষ যার স্বপ্ন দেখেছে কয়েক দশক ধরে। যেটি স্থিরাবস্থা থেকে উড়তে এবং ল্যান্ড করতে সক্ষম – একটি ফ্লায়িং কার। আমরা আসকা-র সাথে ইতিহাস গড়তে চলেছি, যা পরবর্তী ১০০ বছরের পরিবহন সংজ্ঞায়িত করবে।”
তবে এই জাতীয় গগন যান আকাশে ওড়ার জন্য হেলিপ্যাড অথবা ভার্টিপোর্টের মতো কম্প্যাক্ট স্পেসের প্রয়োজন। সংস্থাটি জানিয়েছে এটি ছোট জায়গায় পার্ক করা ছাড়াও বাড়িতেই চার্জ দেওয়া যাবে। উপরন্তু এতে রয়েছে সুরক্ষার একাধিক ফিচার। এতে থাকা বৃহদাকার পাখা পরিবেশবান্ধব গাড়িটিকে জরুরি অবস্থাতেও নিরাপদে ল্যান্ড করতে সহায়তা করবে।
ASKA A5-এ ব্যাটারি এবং ইঞ্জিন – এই দুই প্রকার শক্তির উৎস থাকছে। প্রতিটি পাখায় একটি করে মোট ছয়টি প্রোপেলার রয়েছে, যা নিরাপত্তার মাপকাঠি নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও এতে রয়েছে একটি ব্যালিস্টিক প্যারাসুট। ২০২৬ এর মধ্যে উড়ন্ত গাড়িটি বাজারে আনার আশা রাখছে সংস্থা।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন: