নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: বাঘ, হরিণ ও শূকর গণনার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ৬৬৫ স্থানে ১ হাজার ৩৩০টি ক্যামেরা স্থাপন শুরু করেছে বনবিভাগ।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে কালাবোগী ইকোট্যুরিজম সেন্টারে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বাঘ গণনা ছাড়াও এ বছর হরিণ ও শূকর গণনা করা হবে বলে জানান সুন্দরবন পশ্চিম অঞ্চলের বন কর্মকর্তা এবং বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক আবু নাসের।
প্রকল্পটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ক্যামেরা ট্র্যাপিং এবং খাল জরিপ। প্রাথমিকভাবে, সুন্দরবনের খালের উভয় পাশ বরাবর জরিপ শুরু হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঘের গতিবিধি এবং পাগমার্ক চিহ্নিত করা হবে।
ক্যামেরা ট্র্যাপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুই বছরের জন্য ছবি নেবে, এরপর ধারণ করা ছবিগুলো বিশ্লেষণ এবং পরে সংখ্যা বের করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক আবু নাসের জানান, বাঘ বেশিরভাগই হরিণ শিকার করে। তবে তারা শূকর, বানর ও কাঁকড়াও খায়। ২০২৪ সালে তাদের খাদ্যাভাস বের করার জন্য আরেকটি জরিপ করা হবে।
জরিপ পরিচালনার জন্য ৪৯টি গ্রামে টাইগার রেসপন্স টিমের অধীনে ৩৪০ সদস্য এবং চারটি রেঞ্জের অধীনে কমিউনিটি টহল দলের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬। ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা ১১৪-এ গিয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৬৩ এবং ১২ থেকে ১৪ মাস বয়সের মধ্যে ১৮ এবং ৩৩টি শাবক ছিল।
এম/ আই. কে. জে/
আরো পড়ুন:
নতুন বছরেই টানেল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ