নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: বিশ্ব অর্থনীতির কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরেও বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি এই তালিকায় বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ।
এ অর্জন সম্মানের-গৌরবের। তবে আরও শক্তিশালী অবস্থানের জন্য প্রয়োজন রপ্তানি বৈচিত্র্য। আর সম্ভাবনাময় সব খাতকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন নীতি সহায়তা ও বিদেশি বিনিয়োগ।
সম্প্রতি কানাডার একটি অনলাইন প্রকাশনায় দ্য টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
যেখানে জিডিপির আকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২য় স্থানে চীন, ৩য় স্থানে জাপান, জার্মানি ৪র্থ এবং ভারতের অবস্থান পঞ্চমে।
আর বৈশ্বিক জিডিপির তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের স্থান ৩৫তম। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামের মত দেশকে পেছনে ফেলা বাংলাদেশের এই অবস্থানকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমরা যদি গত ৫০-৫২ বছর দেখি, তাতে দেখতে পাই পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ থেকে একটা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের যতই প্রবৃদ্ধি বাড়বে, মাথাপিছু আয় বাড়বে তখন র্যাঙ্কিংটা ৩৫ থেকে আরও কমিয়ে আনতে পারবো।”
দেশের অর্থনীতি তথা রপ্তানি মূলত পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল। রপ্তানি বৈচিত্র্যের মাধ্যমে অবস্থান আরও শক্তিশালী করা সম্ভব বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বাংলাদেশ আরএনবি নিয়ে ব্যস্ত আছে, এর বাইরে গিয়ে উত্তরণ ঘটাতে পারছি না। যেটাকে টেকনোলজি লেবেল বলা হয়। এক্ষেত্রে আমরা এগুতে পারিনি।”
তবে জনসংখ্যার অনুপাতে সূচক আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন- এমনটা মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এসি/ আই. কে. জে/
আরো পড়ুন:
বিদ্যুতের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে : শামসুল আলম