নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে ১০টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর এক কিলোমিটারেরও বেশি অংশ। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশেরও বেশি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আজ রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সাব স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিউল আলম বলেন, ইতোমধ্যে সেতুর ১০টি স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ১১তম স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। স্প্যানগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য গড়ে ১শ’ মিটার করে। সেই হিসেবে সেতুর ১ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটিতে ৫০টি পিলার এবং দুটি পিলারের মাঝখানে ১টি করে মোট ৪৯টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১শ’ মিটার। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর প্রান্ত থেকে ৩৪ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর মোট ১৭টি পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ৪০ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পিলার পর্যন্ত ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ৩৯-৪০ নম্বর পিলারে আরও একটি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সেতুর ভূয়াপুর প্রান্তে সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ৫ মাসের মধ্যে ১০টি স্প্যান বসানো হলো।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেল বসানো হবে। এই সেতুতে কোন স্লিপার থাকবে না। সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে প্রকল্পটি। ইতিমধ্যে ৫৩ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হওয়ায় সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে সিডিউল বিপর্যয়। বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।সেতুটি নির্মাণ হলে এখান দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করবে।
এম/
আরো পড়ুন:
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যু নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে : ডোনাল্ড লু