নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুকে বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ক্রিয়াশীলরা যে যে দলের সাথেই যুক্ত থাকুন না কেন, নির্বাচনে নৌকাকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও স্বাধীনতা বিরোধীরা সে দেশে রাজনীতির অধিকার না পেলেও ৭৫ পরবর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা পুনর্বাসিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কথা তুলে ধরেন শ.ম. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরিহার্য। খালেদা জিয়া তারেক রহমানসহ বিএনপিও জিয়া হত্যার বিচার কেন করেনি সে প্রশ্নও তুলে ধরেন তিনি। ১৯৭১ সালে যে দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের যে ইতিহাস আমরা জানি, তার বাইরেও অনেক তথ্য ও ইতিহাস আছে। সেসব তথ্য ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা তুলে আনবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের ৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি ভারত ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়ার শর্তে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের ১০ জানুয়ারি কথা বারবার বলতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর কাছেই আসতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল দত্ত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতীয় কূটনীতির সফলতার বিষয়টি তুলে ধরেন। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে যে ইংগিত দিয়েছিলেন সে বিষয়ও বক্তব্যে তুলে ধরেন শ্যামল দত্ত।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের অর্জিত বিজয় পরিপূর্ণতা পেয়েছিল বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস শিরোনামের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।
আই. কে. জে/