spot_img
28 C
Dhaka

২৬শে মার্চ, ২০২৩ইং, ১২ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

ফাইজারের করোনা টিকার কার্যকারিতা জানা যাবে অক্টোবরে

- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সুখবর ডটকম: মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার-এর করোনার টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বিষয়ে জানা যাবে অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদ । গতকাল মঙ্গলবার এনবিসির ‘টুডে’ প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টিকা প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা বলেন, তিনি আশা করছেন, শিগগিরই এই টিকার কার্যকারিতার বিষয়ে জানা যাবে।

সিএনএনের খবরে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে বোরলা সম্প্রতি ৯টি টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সই করা ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ নিয়েও কথা বলেন। চুক্তিতে টিকা প্রস্তুতকারীরা যথাযথ পরীক্ষা শেষ না করে টিকা অনুমোদনের জন্য তড়িঘড়ি অনুমোদন পাওয়ার লড়াইয়ে না নামার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

তবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা যদি যথেষ্ট নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বোরলা বলেন, টিকার কার্যকারিতা বুঝতে অনেক বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত যে মডেল, এতে ফাইজার অক্টোবরের মধ্যে টিকা কার্যকরের বিষয়টি জেনে যাবে। তবে তা টিকা বণ্টনের প্রকৃত সময় হবে না। ওই সময়ের মধ্যে টিকা আসার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ। তাদের টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।

বোরলা বলেন, তারা এর মধ্যে ২৫ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার জন্য ঠিক করেছেন।

জার্মানির বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলে ফাইজার যে টিকা প্রস্তুত করছে, এতে ট্রাম্প প্রশাসন অর্থ সহায়তা করেছে। গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আগামী মাসের মধ্যেই টিকা বাজারে চলে আসতে পারে।

গত জুলাইয়ে কোভিড-১৯ রোধে পরীক্ষামূলক টিকাটির ইতিবাচক ফল পাওয়ার তথ্য জানায় মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। ওই সময় টাইম অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোরলা বলেছিলেন, তারা আশা করছেন, আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ তাদের ভ্যাকসিনের জন্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়ে যাবেন। সেপ্টেম্বরেই তারা টিকার কার্যকারিতার ফল জেনে যাবেন।

গত ১ জুলাই ফাইজার তাদের টিকার ইতিবাচক ফল জানিয়ে দাবি করে, এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তবে এটি বেশি মাত্রায় দেওয়া হলে জ্বরসহ অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল তথ্য ‘মেডআরএক্সআইভি’ সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়। ইতিবাচক ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বার্ষিক ভ্যাকসিন ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ কোটি করেছে।

বোরলা বলেন, তারা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডোজ বিক্রি নিয়ে বাণিজ্যিক আলোচনা করছেন। তার কোম্পানি এফডিএর অনুমোদন পাওয়া আগেই উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করবে। তারা ঠিক পথেই এগোচ্ছেন। এটি অপ্রচলিত পদ্ধতি বলে এতে ঝুঁকি বেশি।

জার্মান জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়োএনটেককে সহযোগী করে মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) পদ্ধতিতে এ ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার।

বোরলা স্বীকার করেছেন, এর আগে কখনো কোনো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে এমআরএনএ–ভিত্তিক ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ