আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সুখবর ডটকম: প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য শেষের শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন রাজা চার্লসের জীবনী লেখক ক্যাথেরিন মেয়ার। তিনি বলেছেন, বর্ণবাদ, দৈন্যতা এবং সম্পদ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া রাজপরিবারের প্রতি জনগণের ভাবনাকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। ক্যাথেরিন মেয়ার বলেন, ডিউক অব সাসেক্সের স্মৃতিগ্রন্থে রাজপরিবারের আচরণের ওপর আক্রমণ একেবারেই বিপর্যকর। তবে এটাকে আমলে নেওয়া হচ্ছে না। মেয়ার মনে করেন, স্পেন থেকে প্রকাশিত প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ রাজপরিবারের মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তুলে এনেছে। বইটি রাজপরিবারের প্রচারের মেশিন হয়ে উঠছে। সাংবিধানিক রাজতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। যদিও ব্রিটিশ জনগণ হয়তো এর কোনো পরিবর্তন চান না। ক্যাথেরিন মেয়ার দাবি করেন, এটা রাজপরিবারের শেষের শুরু হতে পারে। এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা করা উচিত। এর মাধ্যমে হয়তো রাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব তৈরি হবে। এছাড়া ডানপন্থি রাজনীতির উত্থানে সহায়ক হবে।
১৯৯৭ সালে মা ডায়ানা প্রিন্সেস অব ওয়েলসের মৃত্যুর পর মাত্র একবার কাঁদতে পেরেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশ উপলক্ষ্যে দেওয়া নতুন এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেছেন প্রিন্স হ্যারি। ঐ সাক্ষাত্কারে ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম আইটিভির সাংবাদিক টম ব্র্যাডবিকে হ্যারি বলেন, জনসম্মুখে শোক প্রকাশের সুযোগ তাদের ছিল না। যখন তার মাকে সমাহিত করা হয়, তখন তিনি একবারই কাঁদতে পেরেছিলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বৃটেনের প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই স্পেয়ার। এতে তিনি এমন সব কথা লিখেছেন যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনার তুঙ্গে এখন প্রিন্স হ্যারি। অকপটে সত্যি তুলে ধরায় অনেকেই তার প্রশংসা করছেন আবার কেউ কেউ তার লেখাকে ‘ছেলেমানুষি’ বলে সমালোচনাও করছেন। ঐ বইতে আফগানিস্তানে ২৫ তালেবান সদস্যকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন প্রিন্স হ্যারি। এটিই সব থেকে বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক জন সাবেক ব্রিটিশ কম্যান্ডার বলেছেন, এ কথা লিখে হ্যারি তার নিজের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। আফগান তালেবান সরকারও হ্যারির সমালোচনা করেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি
এম/
আরো পড়ুন:
ফখরুল-আব্বাস মুক্তি পেতে পারেন আজ