স্পোর্টস ডেস্ক, সুখবর ডটকম: বাঁ প্রান্ত থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রস। লাফিয়ে উঠলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে খুঁজে নিল জাল। তখন রীতিমতো বুনো উল্লাস শুরু করলেন রোনালদো। দেখে মনে হচ্ছিল গোলটি করেছেন এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাই। এমনকি গোলদাতা ব্রুনো ফার্নান্দেজও ভেবেছিলেন এমনটাই।
ঘটনাটি সোমবার রাতে ফিফা বিশকাপের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ৫৪তম মিনিটের। সেই গোলের পর রোনালদোর বুনো উদযাপনের কারণে প্রথমে স্কোরবোর্ডে রোনালদোর নাম দেওয়া হলেও ফার্নান্দেজকে সেই গোল দেওয়া হয়। স্টেডিয়ামে ঘোষণা করা হয়, এ মিডফিল্ডারের নাম।
রোনালদো নিজেও তাঁর অভিব্যক্তিতে ব্যাপারটি নিয়ে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেন, মাথা দেখিয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছিলেন ফার্নান্দেজের ক্রসে তিনি হেড করেছেন।
পর্তুগালের দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেটি করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজই, আর সেটি পেনাল্টি থেকে। উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে জোড়া গোল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার। এটাই এখন অফিশিয়ালি স্বীকৃত।
তবে ম্যাচ শেষে ফার্নান্দেজ নিজেই প্রথম গোলটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর ওই গোলটি রোনালদোর বলেই ধারণা তাঁর, ‘আমার মনে হচ্ছে, বলটা ক্রিস্টিয়ানোর মাথা স্পর্শ করেছিল। গোলটা সে-ই করেছে। তবে আসল ব্যাপার হচ্ছে, আমরা ম্যাচটা জিতেছি এবং আমরা শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছি। আজকের ম্যাচটি যথেষ্ট কঠিনই ছিল।’
প্রথম গোলটির পর ফার্নান্দেজের উদ্যাপনটাও ছিল রোনালদোকে কেন্দ্র করেই, ‘আমি গোলটা উদ্যাপনও করেছি ক্রিস্টিয়ানোর গোল মনে করে। পরে দেখলাম সেটি তাঁকে না দিয়ে আমাকে দেওয়া হয়েছে।’
সোমবার গ্রুপ ‘এইচ’ এর অন্য ম্যাচটি ছিল উপভোগ্য। দক্ষিণ কোরিয়া দুর্দান্ত খেলেও ঘানার কাছে হেরে গেছে ৩-২ গোলে। পর্তুগাল শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে কোরিয়ার বিপক্ষে। সে ম্যাচ নিয়ে সতর্ক ফার্নান্দেজ, ‘আমরা জানি আমরা একটা গোছানো একটা দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। তাদের দলে প্রতিভার যথেষ্ট। ঘানার বিপক্ষে ম্যাচে আমরা তেমনটিই দেখলাম।’
এম/
আরো পড়ুন:
কাসেমিরোকে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার বললেন নেইমার