ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি গত শনিবার করাচি বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন। বিমানবন্দরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন মহিলা নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ব্লাসফেমির অভিযোগে এক ব্যক্তি হুমকি দিয়েছে।
জারদারির মতে, মহিলা নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ আনা লজ্জাজনক।
পাকিস্তান সরকারকে ঐ নারী কর্মকর্তার সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা দিতে বলে তিনি জানান, কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তি পেতে হবে।
জারদারি বলেন, কাউকে ব্লাসফেমি সম্পর্কে অভিযুক্ত করা খুবই গুরুতর একটি বিষয়। এ অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত।
তার মতে, কিছু মানুষ ধর্মের লেবাস পরে পাকিস্তানের বদনাম করতে চায় এবং সরকার ও জনগণের উচিত তাদের এই ধরনের আচরণকে নিরুৎসাহিত করা।
সম্প্রতি, পাকিস্তানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লাসফেমির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে লোকদের গ্রেপ্তার করছে৷
ব্লাসফেমি মামলায় জড়িত ৬২ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্লাসফেমারদের মধ্যে ৯ জনকে আদালত মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে এবং এসব মামলায় জড়িত কাউকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
রাইটস গ্রুপ ভয়েস ফর জাস্টিসের চেয়ারপারসন জোসেফ জ্যানসেন বলেছেন, ব্লাসফেমি আইন সুষ্ঠু বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয় না। বরং মিথ্যা প্রমাণ এবং মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তি পেয়ে যায়।
জ্যানসেন জানান যে, পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।