ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: পাকিস্তানের জন্য বিগত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ছিল ২০২২ সালটি। নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমেই বছরটি শেষ হলো। গত ডিসেম্বরে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর উত্থানের ফলে পাকিস্তানিরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে অনেক নিরাপত্তা কর্মীসহ সাধারণ নাগরিক।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস) তার বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে ২৮২ জন পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মী মারা গিয়েছেন। এদের প্রায় অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আত্মঘাতী বোমা হামলায়।
সিআরএসএস তার প্রতিবেদনে, টিটিপি, বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং দায়েশ-আফগানিস্তানকে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে। শুধুমাত্র গত ডিসেম্বরেই, বোমা হামলায় ৪০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাবার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং সৌদি আরব গত ডিসেম্বরে তাদের নাগরিকদের পাকিস্তানে চলাচল সীমিত করতে এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর জন্য পরামর্শ জারি করে।
দেশটি এই বছর ৩৭৬ টির মতো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন, যেমন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), দায়েশ (ইসলামিক স্টেট খোরাসান), এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর মধ্যে ৫৭ টির দায় স্বীকার করেছে।
সামগ্রিকভাবে খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে সহিংসতার তীব্র বৃদ্ধি ঘটেছে যার ফলে সেখানে প্রাণহানি ১০৮ শতাংশ বেড়েছে।
সহিংসতার শিকার হওয়া বেশিরভাগই বেসরকারি কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা কর্মী। এই বেসরকারি কর্মীদের মধ্যে কিছু বিদেশিও ছিলেন- চারজন চীনা এবং আফগান পুলিশের একজন সাব কমান্ডার।