ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: গত বৃহস্পতিবারেও, পাকিস্তানের বান্নু বিভাগে অনাচার ও সন্ত্রাসের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের মতো প্রতিবাদ অবস্থান চলে। ফলে জ্যাম এবং অন্যান্য কারণে বান্নু কওমি জিরগা (উপজাতীয় সংস্থা), শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করে।
স্থানীয় প্রবীণ, রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, আইনজীবী, চিকিৎসক এবং সমাজকর্মীরা জিরগার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বান্নুর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ মিছিলে এসে প্রতিবাদ করছে।
বান্নু বিভাগের কমিশনার মতিউল্লাহ জান এবং পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শকের সাথে তাদের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে, কারণ তারা এলাকায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনও ধরনের নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।
জিরগা তাদের দাবিগুলো উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরে। কিন্তু তারা সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেনি বরং অতিরিক্ত কয়েক সপ্তাহ সময় চায়, যা তাদের প্রদান করা হয়নি।
কয়েকদিন আগে উত্তর ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলার মীর আলি তহসিলের হাসোখেল গ্রামে তিন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়ে এবং তাদের মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর থেকেই এই বিক্ষোভ অবস্থান শুরু হয়েছিল।
নিহত তিন ব্যবসায়ীই বান্নু জেলার বাসিন্দা এবং তাদের মীর আলী বাজারে একটি জুয়েলারি দোকান ছিল। রাতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাদের অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সাধারণ সম্পাদক নাদিম আসকার, মালিক শোয়েব খান অ্যাডভোকেট, মালিক শাকিল, ডাঃ পীর সাহেব জামান, নাসির খান বনগাশ, আইয়ুব খান অ্যাডভোকেট প্রমুখসহ বক্তারা বলেন, এটা দুঃখজনক যে সরকারি কর্মকর্তারা এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনও ধরনের নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম নয়।
একজন বক্তা বলেন, আইন মান্যকারী নাগরিকেরা প্রতিদিন খুন হচ্ছে। কিন্তু আইন অমান্যকারী অপরাধী ও জঙ্গিদেরকে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আটকাতে পারছে না।
বক্তারা জানান তারা জঙ্গিদের বাড়াবাড়ি সহ্য করবে না এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য তাদের এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথেও কোনও ধরনের বৈঠকে বসবে না।
তারা জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব।
তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার তারা কাউকেই দিবে না।