ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেন, ভবিষ্যতে আর নিউইয়র্কের ৯/১১ বা মুম্বাইয়ের ২৬/১১ এর মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না।
তিনি পরোক্ষভাবে পাকিস্তান ও চীনের উল্লেখ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবার্তা জারি করেন। তার মতে, সন্ত্রাসবাদের সমসাময়িক কেন্দ্রটি অত্যন্ত সক্রিয়।
তিনি ১৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি : বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী পদ্ধতি-নীতি এবং এগিয়ে যাওয়ার উপায়” শীর্ষক ইউএনএসসি-এর বৈঠকের সময় তার বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন যে সন্ত্রাসবাদ পুরো বিশ্বের জন্যেই একটি হুমকি। এটি আন্তজার্তিক শান্তি ও নিরাপত্তার অস্তিত্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমানা, জাতি কিংবা জাতীয়তা দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।
বর্তমান সময়ে সন্ত্রাসবাদ আরো গুরুতর আকার ধারণ করেছে। ভারত সেজন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে এবং এ বৈঠক সে চেষ্টারই একটি অংশ মাত্র।
১৫ সদস্যরাষ্ট্র-বিশিষ্ট সভায় বক্তব্যদানকালে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি আরো গুরুতর হয়ে উঠেছে। আল কায়েদা, দায়েশ, বোকো হারাম এবং আল শাবাব ও তাদের সহযোগীদের ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধি পুরো বিশ্বই দেখতে পাচ্ছে।
অনলাইনের উপর ভিত্তি করে নতুন করে সন্ত্রাসী দল তৈরি হচ্ছে, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনো পুরাতন সন্ত্রাসী দলগুলোই সক্রিয় রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ দমনের যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন সন্ত্রাসবাদের সমসাময়িক কেন্দ্রটি এখনো অত্যন্ত সক্রিয়।
জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বিশ্বকে কোন কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন। সেই সাথে সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে যে দ্বিমুখিতা দেখা যায় সে নিয়েও তিনি কথা বলেন। সন্ত্রাসীরা নতুন ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সন্ত্রাসীদের অনুমোদন এবং বিচারের ক্ষেত্রে অভিন্ন মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয় না। কখনো কখনো মনে হয় সন্ত্রাসবাদের মালিকানাই তার প্রকৃত অপরাধের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জয়শঙ্কর সেসকল দেশের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন যারা বারবার পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টায় বাধা প্রদান করেছে।