spot_img
32 C
Dhaka

২৪শে মার্চ, ২০২৩ইং, ১০ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

পাইপলাইনে ডিজেল আমদানিতে খরচ সাশ্রয় হবে, কমবে অপচয়

- Advertisement -

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি হলে ব্যারেল প্রতি সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ৫ মার্কিন ডলার। পাশাপাশি কমবে তেলের অপচয়ও। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় দ্রুত সময়ে ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসি।

দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৬৫ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টনই ডিজেল। আর ডিজেলের ৮০ ভাগ আসে পরিশোধিত আকারে। আর অপরিশোধিত তেল শোধন করে পূরণ হয় বাকি চাহিদা।

ওয়াগনে করে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি নিয়মিত ডিজেল আমদানি করে। বিপিসি বলছে, এই আমদানি প্রক্রিয়াটি ব্যয়-সাপেক্ষ। অপচয়ের ঝুঁকিও বেশি। এসব বিবেচনায় দুই দেশের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন।

ভারতের নুমালিগড় থেকে শিলিগুঁড়ি রেল টার্মিনাল পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার পাইপলাইন আছে আগে থেকেই। শিলিগুঁড়ি টার্মিনাল থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন  তৈরি করা হয়েছে নতুন করে। এ প্রকল্পে ভারত ৩০৩ কোটি ও বিপিসি ২১৭ কোটি টাকা ব্যয় করছে।

বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, “উত্তরাঞ্চলে ১৬টি জেলা শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত। সেখানে সেচের কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে ডিজিলের প্রয়োজন হয়। সেই ডিজিলের চাহিদা পূরণে আমাদের বড় রকমের সহায়ক হবে। এলসি খোলার পর নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা তেল পেয়ে যাব।”

প্রাথমিকভাবে বছরে দুই থেকে তিন লাখ টন ডিজেল আনার পরিকল্পনা করছে বিপিসি। এরপর খরচ ও চাহিদা বুঝে আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। চুক্তি অনুসারে সরবরাহ শুরুর দিন থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত মৈত্রী পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।

এ বি এম আজাদ বলেন, “পাইপলাইনের পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার জন্য ৭ হাজার মেট্রিক টনের ৬টি অয়েল ট্যাঙ্কার তৈরি হচ্ছে। নতুন ট্যাঙ্ক ও পুরাতন মিলে প্রায় ৪৪ হাজার মেট্রিক টনের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ওখানে তৈরি হবে। উত্তরাঞ্চলের চাহিদার যে ধরন তাতে দুই মাসের মজুদ করা সম্ভব হবে।”

ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানিতে ব্যারেলপ্রতি ব্যয়-সাশ্রয় হবে প্রায় সাড়ে ৫ মার্কিন ডলার। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলে ডিজেল সরবরাহ দ্রুত ও সহজ হবে বলে জানান বিপিসি চেয়ারম্যান।

এ বি এম আজাদ বলেন, “বর্তমানে ব্যারেল প্রতি আমদানি খরচ ১১-১২ ডলার পড়ে। এটা যদি বহালও থাকে তাহলেও প্রতি ব্যারেলে ৫-৬ ডলার সাশ্রয় হবে।”

আজ ১৮ মার্চ উদ্বোধনের পর মৈত্রী পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু করবে বাংলাদেশ।

এসি/ আই. কে. জে /

আরো পড়ুন:

আমরা সেন্সেবল ব্যবসায়ী চাই: বাণিজ্যমন্ত্রী

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ