আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সুখবর ডটকম: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গত বছর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে রাশিয়া। আর নানা ইস্যুতে আগে থেকেই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর নিজেদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল না থাকলেও গত বছর বেড়েছে রাশিয়া-ইরানের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাশিয়ার স্টেট ডুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোডিন এক সরকারি সভায় এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত বছর রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পৌঁছায়, যা আগের বছরের থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপের মুখে দুই দেশই পারস্পরিক বাণিজ্য গড়ে তোলার জন্য সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এতে তেহরান এবং ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়নের মধ্যে একটি নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির টার্নওভার আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ইরান ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইইইউ) মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত স্মারকলিপি স্বাক্ষরিত হয়। এ স্মারকলিপির প্রশংসা করে ভোলোডিন বলেন, চুক্তিটি রাশিয়া-ইরান বাণিজ্যকে আরও প্রসারিত করতে সহায়তা করবে।
এ ছাড়া ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে ইরানি টারবাইন, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং বিমানের সরঞ্জামের বিনিময় চুক্তি থেকে শুরু করে গ্যাস পাইপলাইনগুলোর যৌথ নির্মাণের চুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উভয় দেশেরই উচিত আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করা। এর জন্য তিনি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়ানোসহ রাশিয়ান ‘মির’ এবং ইরানি ‘শেতাব’ পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
এদিকে বাণিজ্যে জাতীয় মুদ্রার সক্রিয় ব্যবহার নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে ভোলোডিন বলেন, এতে পারস্পরিক সহযোগিতার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রুবল ও রিয়ালের ভাগ ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া জাতীয় পেমেন্ট সিস্টেমের যৌথ প্রয়োগের কাজও শেষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ইরানের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে রাশিয়া-ইরান বাণিজ্য একটি লজিস্টিকাল ব্রিজ হিসেবেও কাজ করছে।
সূত্র: আরটি
এম/
আরো পড়ুন:
জনসংখ্যা বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে জাপান