লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: আমাদের কাছে ব্রণ নামটি খুবই পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কিশোর-কিশোরীরা ব্রনেতে ভুগছে। কিন্তু শিশুদের মধ্যেও এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায়। অনেক অভিভাবকই এটা শুনে অবাক হতে পারেন তবে নবজাতকদেরও এই সমস্যা হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার। নবজাতকদের মধ্যে ব্রণকে ‘নিওনেটাল সেফালিক পুস্টুলোসিস’ বলা হয়ে থাকে।
কী কারণে শিশুদের মধ্যে ব্রণ দেখা যায় তা জানা যায়নি কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এটা সম্ভবত কোনো ইনফেকশন কিংবা ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে আসে। এগুলো সাধারণত গালে বা হাতে লাল দাগের মতো হয় কিন্তু পুঁজ হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে যদি সেখানে জ্বালা বা লালভাব বেশি হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
আপনার শিশুর মধ্যে এমন সমস্যা দেখা দিলে তাতে ভয় পাবেন না। মূলত ২ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এই ধরণের ব্রণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে, কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি ৫ বছর অবধি চলতে পারে। পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশুর এই সমস্যা হতে পারে।
এটা ঠিকই যে এই ধরনের ব্রণগুলি ক্ষতিকারক না। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি হলে অবহেলা না করে শীঘ্র ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করাই উত্তম।
>> লাল ফুসকুড়ি:
শিশুদের ত্বকে ব্রণ দেখা দিলে তা লাল দাগের মতো বা লাল ফুসকুড়ির মতো হয়, তবে পুঁজ থাকে না। শিশুদের ত্বক এমনিতেই খুব কোমল, নরম এবং সেনসিটিভ হয়। তাই এদের আক্রান্ত হওয়ার রিস্কও অনেক বেশি থাকে।
>> রেড চিক্স:
এই ক্ষেত্রে শিশুদের গালের রং লাল হয়ে যেতে পারে। এর বাম্প না থাকলেও ব্রণের জায়গাগুলো বেশ লাল দেখায়।
>> অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন:
ব্রণ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনেক সময় শিশুর জন্য নতুন কোনও স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে যদি তা সুট না করে তাহলে শিশুদের এলার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে। এলার্জির কারণে শিশুর উরুতে বা আন্ডারআর্মে ফুসকুড়ি বা চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
নবজাতকদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা ব্যাকটেরিয়া বা ইনফেকশনের জন্য হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন অতি দ্রুত।
এম এইচ/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন:
ছয় মাস বয়সের শিশুদের জন্য উপযুক্ত খাবার কী