বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক, সুখবর ডটকম: ধর্ষণ প্রতিরোধে ‘বাঁচাও’ নামে একটি অ্যাপ এনেছে বাঁচাও ফাউন্ডেশন। এই অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ তা ডাউনলোড করেছে। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এর পরেই রয়েছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দারা।
জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁচাও অ্যাপ। যেখানে একটি মাত্র ছোঁয়ায় সমস্যায় পড়া একজন নারী তার কাছাকাছি স্বেচ্ছাসেবক, পরিবার, বন্ধু অথবা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। এই অ্যাপটি সহায়তা চাওয়া নারীর অবস্থান নির্দেশ করবে এবং এর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে টেক্সট কিংবা অডিওর মাধ্যমে তার যোগাযোগ স্থাপন করবে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করার পর জরুরি যোগাযোগের জন্য পরিবার এবং বন্ধুদের ফোন নম্বর নির্বাচন করতে হয়। যদি কোনো নারী ধর্ষণের আশঙ্কা করেন তবে তিনি “রেপ অ্যালার্ট” লেখা লাল বোতাম চাপলেই হবে। কাছাকাছি থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা ওই সতর্কবার্তা পেয়ে যাবেন এবং তারা “মেসেজ” দিয়ে যোগাযোগ করবেন কিংবা ওই নারীকে সহায়তার জন্য ফোন করবেন। ওই নারীও পাল্টা যোগাযোগ করতে পারবেন।
নিজেকে নিরাপদ মনে করলে ওই নারীকে “সেইফ নাউ” লেখা সবুজ বোতামে একবার চাপ দিতে হবে। এছাড়া “বাঁচাও” হেল্পলাইনে যে কেউ ফোন করতে পারবেন।
অ্যাপ নির্মাতা জালাল আহমেদ জানান, কোনো নারী যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়েন, যা ধর্ষণের ঘটনায় মোড় নিতে পারে, তখন এই অ্যাপটির মাধ্যমে তিনি সহায়তা চাইতে পারবেন। নারীরা যাতে প্রয়োজনের সময়, বিশেষ করে ধর্ষণ থেকে নিজেদের রক্ষায় সহায়তা চাইতে পারে, সেজন্য ‘বাঁচাও’ নামের এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।
জালাল আহমেদ বলেন, “৮০% ধর্ষণের ঘটনাই নারীটির আশপাশের কোনো স্থানে ঘটে এবং সেটা তার আবাসস্থল থেকে বেশি দূরে হয় না। আমরা দেখেছি, একমাত্র সমাজের সবাই এগিয়ে এলেই ধর্ষণ ঠেকানো সম্ভব, কারণ তারাই দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে, কিন্তু কোনো নারীর যখন সহায়তা দরকার হয় তখন সবখানে তাদের পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে ৮০০ জনের জন্য একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। কাউকে সহায়তা করার জন্য তাদের পক্ষে কী দূর থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব? একমাত্র সমাজের লোক কিংবা স্বেচ্ছাসেবকরাই দ্রুত সহায়তা করতে পারবেন।”
এ অ্যাপ ব্যবহার করছেন এমন একজন রুমাইয়া রাহীন। তিনি বলেন, অ্যাপটি নারীদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। আমরা যখন কোনো আকস্মিক বিপদে পড়ে যাই তখন আশপাশের অপরিচিত মানুষজন এগিয়ে আসতে চায় না। ‘বাঁচাও অ্যাপ’ এর মাধ্যমে আমরা যে কোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য পেতে পারি। অ্যাপ ব্যাবহার করে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই চলাফেরা করতে পারি আমরা।
এম এইচ/ আই.কে.জে/
আরও পড়ুন:
কৃত্রিম গর্ভেই সৃষ্টি হবে মানব শিশু!