spot_img
24 C
Dhaka

১লা এপ্রিল, ২০২৩ইং, ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯বাংলা

দুর্যোগেও সুখবর : বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড

- Advertisement -

সুখবর প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। রপ্তানি হচ্ছে খুব কম। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও টাকা পাঠাচ্ছেন সামান্য। এ সময়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সচল রাখতে নানা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। পুরাতন আমদানি দায় মেটাতে সাধারণ ছুটির মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংককে ২০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করতে হয়েছে। এমন সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার কিছু ঋণ এসেছে। এর বাইরে জাতিসংঘ থেকে সামান্য কিছু অনুদান দেওয়া হয়েছে। ফলে ডলার বিক্রির মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন। তবে মাস দুয়েক পর তা আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে।

এ বছরের শুরুতে চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে আমদানি ব্যাপক কমে যায়। তবে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকায় ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর উদ্বৃত্ত ডলার জমা হয়। সে সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় গত ১ মার্চ রিজার্ভ আবার ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। তবে দু-একদিন না যেতেই রিজার্ভ আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ঋণ ও অনুদান এলেও মূলত আমদানি কমায় রিজার্ভ বেড়েছে। এটা ভালো। সংকট শেষ হলেই আবার ডলারের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। কেননা আমরা আমদানি নির্ভর দেশ। সংকট-পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে ডলারের দরকার হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।

একই সময়ে আমদানি ব্যয় ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে তিন হাজার ২০০ কোটি ডলার হয়েছে। আর জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ১০৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান।

এই সূচকটাই ছিল ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতেও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি ছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মার্চে রেমিট্যান্স কমেছে ১৭ কোটি ১৮ লাখ ডলার বা ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি বছর রেমিট্যান্স ২২ শতাংশের মতো কমতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করেছে বিশ্বব্যাংক। ফলে আগামীতে রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হবে বলে সংশ্নিষ্টরা মনে করেন।

- Advertisement -

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করুন

25,028FansLike
5,000FollowersFollow
12,132SubscribersSubscribe
- Advertisement -

সর্বশেষ