ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: অধিকাংশ চীনা অভিভাবকেরাই বর্তমানে তাদের সন্তানদের মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চাইছেন। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, তারা চান না তাদের সন্তান ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যাক, যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসলে তাদের কোনও লাভই হয় না। তাছাড়া তাদের সন্তানদের পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য বিকল্প পথ খুঁজছেন তারা।
সন্তানদেরকে উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য, চীনের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যালয় রয়েছে যেগুলো সুপরিচিত পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে অধিভুক্ত। এ বিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক স্নাতক (আইবি) এর উপর গুরুত্ব প্রদান করে বাচ্চাদেরকে কে-১২ শিক্ষা প্রদান করে। আইবি-এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষার দরজা খুলে যায়।
প্রায় প্রত্যেক চীনা পরিবারই তাদের সন্তানদেরকে পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিকল্প হিসেবে তারা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়াকে খুঁজে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে এক অভিভাবক জানান, তিনি তার সন্তানের শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়াকে বেছে নিয়েছেন তার সামর্থ্য এবং চীনের সাথে এর ভৌগোলিক দূরত্বকে বিবেচনায় রেখে। তাছাড়া আইবি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তার সন্তান পরবর্তীতে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া কিংবা কানাডার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
ইতিমধ্যে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার কারণে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি চীনাদের আকর্ষণ কমতির দিকে। তাদের বাচ্চাদের জন্য মাধ্যমিক বা তৃতীয় স্তরের শিক্ষার জন্য বিদেশি বিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার মান এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তাই ছিল প্রাথমিকভাবে বিবেচ্য বিষয়।
মূলত, বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই ২০২২ সালের প্রথম দিকে চীনা নাগরিকদের জন্য জারি করা মার্কিন ভিসার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শুধুমাত্র ৩১,০৫৫ টি এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৬৪,২৬১ কম।
চীনারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিদ্যালয়গুলোতে তাদের সন্তানদের পড়াতে বেশি ইচ্ছুক। তথ্য অনুযায়ী, ১৯,২০২ চীনা শিক্ষার্থী ২০২১ সালে মালয়েশিয়ায় পড়ার জন্য আবেদন করেছিল। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৮,৮৭৬ জন। এই অঞ্চলে বিদ্যালয়ের ফি টাও তুলনামূলকভাবে কম।
আই.কে.জে/