ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: চলতি সপ্তাহের শুরুতে, এলটিটিই-এর পুনরুত্থানের ফলে বেআইনি মাদক ও অস্ত্র মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা। মামলাটি পাকিস্তানে অবস্থিত হাজী সেলিমের সাথে যুক্ত গুনাশেকারন এবং পুষ্পরাজাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শ্রীলঙ্কার ড্রাগ মাফিয়াদের কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত। এটি ভারত ও শ্রীলঙ্কায় কাজ করছে এবং এফ-এর পুনরুত্থানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে মাদক ও অস্ত্র পাচার করছে।
দক্ষিণ ভারতে সন্ত্রাসী হামলা বাড়াতে পাকিস্তানিদের হাত নতুন কোনও বিষয় নয়। ২০১৪ সালে, কলম্বোতে পাকিস্তানের হাইকমিশন দ্বারা এনআইএ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। তামিলনাড়ুতে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি করা যায় এ বিষয়টি হাইকমিশন পর্যবেক্ষণ করছিল।
এনআইএ কে শেকড় থেকে উপড়ে ফেলার পর এখন আইএসআই তামিলনাড়ু এবং শ্রীলঙ্কায় এলটিটিই আন্দোলনকে পুনরুত্থাপনের চেষ্টা করছে, যেন দেশ দুটির নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে। গত ফেব্রুয়ারিতে, তামিল জাতীয়তাবাদের সাথে এলটিটিই আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়। এনআইএ এর কিছু প্রাক্তন কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে তাদের সাথে ইউরোপের কিছু ব্যক্তির যুক্ত থাকার কথা প্রকাশ্যে আসে।
জানা যায়, ইউরোপের ঐ ব্যক্তিবর্গরা অর্থ উত্তোলন এবং এলটিটিইকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে। ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডের বাইরে থাকা এই ব্যক্তিরা বিলুপ্ত এলটিটিই এর কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করছিল।
অপরদিকে আইএসআই এই বিষয়গুলোকে ব্যবহার করে তামিল জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে এলটিটিইকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছিল এবং এজন্য তাদের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ অঞ্চলগুলো। তারা এ ব্যাপারে কিছু এনজিওর সাথেও যোগাযোগ করে যারা এলটিটিই এর সাথে তামিল জাতীয়তাবাদের সম্পৃক্ততার কথা বলে মানুষদের ভুল বুঝাবে।
চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে ৫০ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কার নাগরিক লেচুমানান মেরি ফ্রান্সিসকাকে গ্রেপ্তারের পর এই মামলাটি প্রকাশ্যে আসে। তদন্তের সময় জানা যায় অভিযুক্ত ফ্রান্সিসকা ভারতীয় ওভারসিজ ব্যাঙ্কের মুম্বাই শাখা থেকে টাকা তুলেছিল। ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই টাকাই এলটিটিই এর পুনরুত্থানের জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা হচ্ছিল।
ভারতের তামিলনাড়ুর কদ্দিকরাই নামের মাছ ধরার বন্দরটি একসময় শ্রীলঙ্কান চোরাকারবারিদের আস্তানা ছিল। ২০১৩ সালে, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে এমভি নাবিক ওহাইওকে আটক করা হয়। কদ্দিকরাই বন্দরটি সম্প্রতি বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। বর্তমানে শুধুমাত্র চোরকারবারিরাই নয়, বরং সন্ত্রাসীরাও এ বন্দর ব্যবহার করছে। এই বন্দরে একটি বড় চীনা অস্ত্রের কারখানাও ধ্বংস করা হয়। নকশাল আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে কেরালায় গোলাবারুদ পাচার করা হচ্ছে বলেও জানা যায়।
আইএসআই ওষুধ শিল্পের মাধ্যমে ওষুধ বিক্রি করে বছরে প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকা আয় করছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের কাজে।