ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সপ্তাহান্তে তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে ৭১ টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চীন। এর আগে গত সোমবার, চীনা বিমান বাহিনীর ৪৭ টি বিমান ২৪ ঘন্টার ভেতর তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা বরাবর অতিক্রম করে যায় বলে জানা গিয়েছিলো।
এ সম্পর্কে চীন জানায় যে, তারা রবিবার নাগাদ তাইওয়ানের পার্শ্ববর্তী সমুদ্র ও আকাশসীমায় একের পর এক মহড়া পরিচালনা করছিলো।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে জানায় এ মহড়াগুলো তাইওয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীনের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রের যোগ্য জবাব। বেইজিং গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান দ্বীপের কাছাকাছি তার সামরিক কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে।
চীনা দাবিকৃত তাইওয়ান দ্বীপটি চীনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে। তাইওয়ান জানায় যে চীন আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত করার এবং তাইওয়ানের নাগরিকদেরকেও ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানান যে, চীনা বিমান ও জেট বিমানগুলো তাইওয়ানের মধ্যরেখা বরাবর অতিক্রম করে গিয়েছে এবং তার এ দাবি প্রমাণ করতে তিনি এ সংক্রান্ত মানচিত্রও প্রদর্শিত করেন।
তাছাড়া সাতটি চীনা নৌ জাহাজের উল্লেখও করে তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা চীনা বিমানকে সতর্ক করার জন্য অনির্দিষ্ট যুদ্ধবিমান ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন বেইজিংয়ের শাসন মেনে নেওয়ার জন্য স্বশাসিত দ্বীপটিতে চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু তাইওয়ান সরকারও চীনাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা শান্তি চায় কিন্তু চীন যদি তাদের আক্রমণ করে তবে আত্মরক্ষাও তারা করতে জানে।
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার এ বিরোধ একটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, তাইওয়ানের প্রশাসন জাপান থেকে চীন প্রজাতন্ত্রে স্থানান্তরিত হয়। চীনা গৃহযুদ্ধের কারণে পিসিআর (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) এবং আরওসি (চীন প্রজাতন্ত্র) এর মধ্যে পরবর্তী বিভক্তি পরিস্থিতিটিকে আরও বিতর্কিত করে তুলেছে।
আই.কে.জে/