নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এরপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রতিনিয়তই আমরা আমাদের কার্যক্রমকে সুবিন্যস্ত করছি। আমাদের সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলছি। আমরা বিশ্বাস করি পুলিশের সৃজনশীল মেধা ও দক্ষতা যুক্ত হয়ে দেশের অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)এর ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসে আয়োজিত সুধী সমাবেশে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে পুলিশ বহুমাত্রিক অপরাধসমূহ সফলভাবে মোকাবিলা করছে। একসময় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। সারাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এমনভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল যে জঙ্গিরা একযোগে ৬৩ জেলায় আক্রমণ চালিয়েছিল। তারা আক্রমণের উন্মত্ত নেশায় মেতে উঠেছিল। সেই অবস্থা থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আমরা একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সকলের সঙ্গে মিলে একযোগে কাজ করছে। এর ফলে দেখা গেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে, একসময় যেখানে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছিল, সেখানেও এখন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।
জলদস্যুর ভয়ে সুন্দরবন, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার করতে পারতো না। এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগামীতে এই অবস্থা আরো উন্নত হবে বলে আশা করেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর তিন হাজার ২৩৮ জন পুলিশ সদস্য ও ছয় থানা নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সিএমপিতে ১৬টি থানা, ৩০টি ফাঁড়ি ও দু’টি পুলিশ লাইন এবং প্রায় সাত হাজার পুলিশ রয়েছে।
এম/
আরো পড়ুন:
বিজিবি দিবসে পিলখানায় প্রধানমন্ত্রী