লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: প্রত্যেক পিতা তার সন্তানকে অনেক ভালোবাসেন। তাই সকল পিতাই চেষ্টা করেন তার সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে তোলার। আজকে আমরা ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশগুলো কী কী হতে পারে তা জানব।
এখানে প্রায় ২০টির মত উপদেশ দেয়া আছে। যা একজন আদর্শ বাবা তার ছেলেকে শিক্ষা হিসেবে দিতে পারেন—
– জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিও না, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
– কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকো না। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
– বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখো না। তুমিও ছোট হয়ে যাবে।
– পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
– কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেও না, সে লজ্জা পেতে পারে।
– সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখো, প্রদানকারীর হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
– এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
– ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেও না।
– তোমার কী আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে।
– কখনও মা’র কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মা’কে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।
– কারও বাসায় নিমন্ত্রণ খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
– কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
– বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করো।
– শ্বশুর কিংবা শাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরণ করো, যাতে করে তাদের মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।
– সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলো এবং কথা বলো। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করো না।
এম এইচ/ আই. কে. জে/
আরও পড়ুন:
সুখী পিতামাতার বা অভিভাবকত্বের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল