ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় ল্যাং সন প্রদেশে ভ্রমণকারীদের জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলে চীন থেকে ভিয়েতনামে আসা লোকদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার।
হেড নগুয়েন লুয়ং ট্যাম, গত সোমবার, হু এনঘি সীমান্ত বন্দরে লাং সন ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ এবং কর্তৃপক্ষের সাথে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।
ট্যাম জানান, ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্ত বন্দরেই সকল সন্দেহজনক ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, যাদের কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে তাদের নমুনা ঘটনাস্থলেই নেওয়া হবে।
মেডিকেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের উপ-প্রধান ভুওং আনহ ডুয়ং বলেছেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা করোনা প্রতিরোধে করোনা পরীক্ষা এবং জেনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের উপর নির্ভর করছে। তাছাড়া করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসা পরিষেবাও সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছে।
চীনের শূন্য কোভিড নীতির অবসানের পর, দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে জার্মানি, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গ সম্প্রতি চীনে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করেছে।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি টুইটবার্তায় লিখেন, চীনের বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে জার্মান ভ্রমণকারীদেরকে অপ্রয়োজনীয় চীনা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
লুক্সেমবার্গ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জার্মানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে টুইট বার্তা প্রেরণ করেন।
বেলজিয়াম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ডিসেম্বর থেকেই শূন্য কোভিড নীতির অবসানের পর চীনে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেলজিয়ামের কোনও নাগরিকই যেন চীনে ভ্রমণ না করে।
সম্প্রতি, চীনে কোভিড সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধির মধ্যে, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ঘোষণা করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে দেশে আগত সমস্ত ভ্রমণকারীর পাশাপাশি হংকং থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের নেতিবাচক কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
এ ব্যাপারে গত সোমবার, চীন বলেছে যে তারা চীন থেকে ভ্রমণকারীদের উপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে পারস্পরিক পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আই. কে. জে/