ডেস্ক রিপোর্ট, সুখবর ডটকম: হঠাৎ করেই চীনে কঠোর শূন্য কোভিড নীতি তুলে দেওয়ার ফলে দেশজুড়ে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তির খবরাখবর।
কোভিড পরীক্ষার সরঞ্জামের অভাবে ঝেজিয়াং এবং আনহুইয়ের কয়েকটি প্রদেশ এবং চংকিং অঞ্চলে হালকা উপসর্গ বা উপসর্গহীন মানুষদেরকে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত একটি বক্তব্য নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে জনগণদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়।
জনগণের বক্তব্য হলো, কোনও পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া তিন বছর ধরে লকডাউন ঘোষণা করে এখন হুট করে লকডাউন তুলে নিয়ে তীব্র সংক্রমণের মধ্যে তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের জীবনের কোন মূল্যই নেই।
তারা আরো বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগেই সংক্রমিত লোকেরা কাজ করতে যেতে চাইলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হতো।
এমনকি কিছু প্রবাসী চীনারা হোটেল কোয়ারেন্টাইন থেকে দেশে ফিরে এসে অবাক হয়ে দেখেন দেশে কত দ্রুত হারে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে।
একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এ ব্যাপারে লিখেন যে, “চীনের বাইরে থাকাকালীন সময় আমি এত করোনা সংক্রমণ দেখি নি। তবে দেশে এসে এত সংক্রমণ দেখে বুঝতে পারছি যে দেশের হয়তো প্রায় সবাই করোনা আক্রান্ত। তাই আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন, এ মুহূর্তে চীনে ফেরত আসবেন না।”
সংক্রমণ এড়াতে কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন।
অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছে।
ওষুধের ঘাটতির মধ্যে গণমাধ্যম দেশের জনগণদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন অনেক ভিডিও পাওয়া যায় যেখানে দেখা যায়, সংক্রমণহীন মানুষেরা অযথাই ওষুধ ক্রয় করছেন।
চীনের জনগণদেরকে কঠোর পরিশ্রমী চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি সদয় হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এসবের মধ্যেই ভালো বেতন এবং সুরক্ষার দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়। যদিও চীনের কোন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে নি।
চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মীদেরকেও কাজে ফেরানো হয়েছে। চীনের হাসপাতালজুড়ে জ্বর নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যাই অত্যধিক।
জরুরি বিভাগেও ফোনকলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, যদিও অতি প্রয়োজন ছাড়া এ বিভাগে কল না দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। এখানকার এক রোগীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যার মাধ্যমে বুঝা যায় এ অঞ্চলে করোনার ভয়াবহতা।