ডেস্ক রিপোর্ট: চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশ, যেখান থেকেই মূলত অ্যাপল এর পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ করা হয়, এই প্রদেশেই প্রতিদিন ১০ লাখের উপর মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রাদেশিক সরকার গত রবিবার নাগাদ এ সংখ্যা প্রকাশ করে বলেন হয়তো নববর্ষের দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখের কাছাকাছি হবে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা।
চীনের অন্যান্য অংশেও প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গুয়াংডং প্রদেশের ডংগুয়ানে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ পর্যন্ত। শানডং প্রদেশের কিংডাওতে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না কিংবা করা হলেও সেখানে সংক্রমণের পরিমাণের সংখ্যায় বেশ-কম রয়েছে যা চীনের সরকারি তথ্য ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
সাংহাইয়ের নিকটবর্তী প্রদেশ হলো ঝেজিয়াং। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ। এর রাজধানী শহর হ্যাংজু, চীনের বৃহত্তম ই-কমার্স সেন্টার এবং অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর আবাসস্থল।
বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চীনে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত রবিবার নাগাদ জানায় যে তারা দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করে দিবে।
তবে চীনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিদেশি অনেক রাষ্ট্র কর্তৃক প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস গত বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে চীনকে আরো বেশি করে তথ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, মাও নিং সমস্ত সমালোচনাকে দূরে সরিয়ে বলেন, চীন ধারাবাহিক ও স্বচ্ছভাবে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও জানিয়েছে।
বেইজিংয়ের মতো শহরগুলোতে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ অধিক হারে বেড়েছে এবং সেই সাথে চিকিৎসা কর্মীদেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আইকেজে /